:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
ভারত স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন সময় ১০টি রাজ্য একীভূত হয়েছে। নিচে একীভূত হওয়া রাজ্যগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হল।
১। ত্রিবাঙ্কুর:
ভারত সরকারের হুমকির মুখে রাজ্যের দেওয়ান বিদেশে পালিয়ে গেলে ভারত সরকার ত্রিবাঙ্কুর রাজ্যের দখল নেয় একে কেরালা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করে।
২। যোধপুর:
এর শাসক পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হওয়াতে আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু কৌশলী লর্ড মাউন্টব্যাটেন তাকে এক রকম বাধ্য করেন পরবর্তীতে ভারতে যোগ দিতে।
৩। ভোপাল
ভোপালের শাসক ছিলেন মুসলিম, তাই তিনি পাকিস্তানে যোগ দেওয়াতে আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু জনগোষ্ঠির দাবি মেটাতে তিনি একরকম বাধ্য হয়েই ভারতে যোগ দেন।
৪। হায়দ্রাবাদ
এই রাজ্যের সংখাগরিষ্ঠ জনগণ মুসলিম ছিলেন এবং রাজাও ছিলেন সম্পদশালী মুসলিম। এই রাজ্যের ক্ষেত্রে উপরোক্ত কোন কৌশল কাজ করেনি বলে ভারত সরকার একদম সরাসরি সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে স্বাধীন এই দেশটি দখল করে নেয় এবং এর ভূমি ও জনগণকে কেটেছেটে পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে ভাগ করে দেয়, যাতে এখানে কখনও স্বাধীনতা আন্দোলন দানা বাঁধতে না পারে।
৫। জুনাগড়
শাসক ছিলেন মুসলিম, তাই তিনি পাকিস্তানে যোগ দেওয়াতে আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ ছিল হিন্দু। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই রাজ্যের শাসক একরকম জোর করেই পাকিস্তানে যোগ দিতে চেয়েছিল। কিন্তু ভারত সরকার প্রথমে এই রাজ্যে অর্থনৈতিক অবরোধ জারি করে এবং পরবর্তীতে সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে একে গুজরাট রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করে নেয়।
৬। ত্রিপুরা
ত্রিপুরা ভারতের ১৯৫০ সালের ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা লাভ করে এবং পরে ত্রিপুরা ভারতের একটি রাজ্য হিসাবে গণ্য হয়েছে।
৭। মেঘালয়
মেঘালয় ভারতের ১৯৭২ সালের ২১শে জানুয়ারি স্বাধীনতা লাভ করে এবং পরে মেঘালয় ভারতের একটি রাজ্য হিসাবে গণ্য হয়েছে।
৮। মণিপুর
মণিপুর ভারতের ১৯৪৯ সালের ১৫ই অক্টোবর স্বাধীনতা লাভ করে এবং পরে মণিপুর ভারতের একটি রাজ্য হিসাবে গণ্য হয়েছে।
৯। আসাম
আসাম ভারতের ১৯৪৭ সালের ১৫ই অগাস্ট স্বাধীনতা লাভ করে এবং পরে আসাম ভারতের একটি রাজ্য হিসাবে গণ্য হয়েছে।
১০। অরুণাচল প্রদেশ
অরুণাচল প্রদেশ ভারতের ১৯৮৭ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারি স্বাধীনতা লাভ করে এবং পরে অরুণাচল প্রদেশ ভারতের একটি রাজ্য হিসাবে গণ্য হয়েছে।