■ নাগরিক প্রতিবেদক ■
ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠনের সমালোচনার মুখে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সৃষ্ট সংগীত শিক্ষক পদ বাতিল করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সাথে বাতিল করা হয়েছে শরীরচর্চা শিক্ষকের পদও।
এই দুটি পদ বাদ দিয়ে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০২৫’-এ কিছু শব্দগত সংশোধনসহ নতুনভাবে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। সংশোধিত বিধিমালা অনুযায়ী, শিক্ষক পদ এখন দুটি ক্যাটাগরিতে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয় অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আকতার খান জানান, রোববার সংশোধিত বিধিমালার গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
আগের বিধিমালায় চার ধরনের সহকারী শিক্ষক পদের মধ্যে সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক পদ যুক্ত ছিল। তবে নতুন সংস্করণে এই দুই পদ বাদ দেওয়া হয়েছে।
পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলোর চাপে এসেছে কি না—এমন প্রশ্নে অতিরিক্ত সচিব সরাসরি মন্তব্য না করে বলেন, ‘আপনারা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পারেন।’
এ ছাড়া বিধিমালায় একটি শব্দগত সংশোধন আনা হয়েছে। আগের সংস্করণে বলা ছিল, শিক্ষক নিয়োগে ২০ শতাংশ পদ বিজ্ঞান বিষয়ে এবং ৮০ শতাংশ পদ ‘অন্যান্য বিষয়ে’ স্নাতক ডিগ্রিধারীদের জন্য নির্ধারিত। তবে ‘অন্যান্য বিষয়ে’ শব্দবন্ধটি বিভ্রান্তিকর হওয়ায় এখন বলা হয়েছে—‘বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ে অন্যূন স্নাতক ডিগ্রিধারী প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সংশোধিত বিধিমালাটি দ্রুত কার্যকর করা হবে এবং আগের সব নির্দেশনা এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে হালনাগাদ করা হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ২৮ আগস্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নিয়োগ বিধিমালা জারি করে। সেই বিধিমালায় সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদ নতুন করে সৃষ্টি করা হয়েছিল। তবে, বিধিমালা প্রকাশের পর থেকেই কিছু ধর্মভিত্তিক সংগঠন সংগীত শিক্ষক পদটি সৃষ্টির বিষয়ে সমালোচনা শুরু করে। শেষ পর্যন্ত সরকার পদ দুটি বাতিল করল।
