আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় আবারও বাড়ল

■ নাগরিক প্রতিবেদন ■

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় আরও এক মাস বাড়িয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নিয়ম অনুযায়ী রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ সময় ৩০ নভেম্বর হলেও তা বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর করা হয়েছিল।

ব্যবসায়ী ও করদাতাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তখন সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবার আরও এক মাস সময় বাড়ানোয় রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ সময় ২০২৬ সালের ৩১ জানুয়ারি।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব (কর আইন-১) মো. একরামুল হকের সই করা এর এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আয়কর আইন ২০২৩ এর ধারা ৩৩৪ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড জনস্বার্থে, সরকারের পুর্বানুক্রমে, স্বাভাবিক ব্যক্তি ও হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের করদাতাদের ২০২৫-২৬ করবর্ষের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিলের নির্দিষ্ট তারিখ ৩০ নভেম্বর, ২০২৫ এর পরিবর্তে ৩১ জানুয়ারি, ২০২৬ তারিখ নির্ধারণ করলো।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে করদাতাদের আরো সুবিধা দিতে রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ানো হয়েছে। আর অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করায় করদাতাদের প্রস্তুতিরও সময় দিতে হয়। সে জন্য সময় বাড়ানো সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সম্প্রতি রিটার্ন জমার সময় বাড়বে কী না এমন প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, সময় বাড়ানোর ব্যাপারটা এখনই বলা যাবে না। এটা রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত, যেহেতু প্রথমবারের মতো আমরা অনলাইনটাকে বাধ্যতামূলক করেছি। আমি এখনই কিছু বলতে পারছি না। তবে সরকার চাইলে বাড়াতে পারে।

এনবিআর সূত্র অনুযায়ী, চলতি কর বছরে এরই মধ্যে ১০ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন জমা দিয়েছেন। গত ৪ আগস্ট ২০২৫ সালে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ই-রিটার্ন সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

এ বছর বিশেষ আদেশের মাধ্যমে ৬৫ বছরের বেশি প্রবীণ করদাতা, শারীরিকভাবে অক্ষম বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তি, বিদেশে অবস্থানরত করদাতা, মৃত করদাতার আইনগত প্রতিনিধি ও বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিক ছাড়া সব ব্যক্তিগত করদাতার জন্য অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যারা এই বাধ্যবাধকতার বাইরে তারাও ইচ্ছা করলে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।

কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া এবার সবাইকে অনলাইনে রিটার্ন দিতে হবে। বর্তমানে দেশের প্রায় ১ কোটি ১৫ লাখের বেশি কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) আছেন। করযোগ্য আয় থাকলে টিআইএনধারীদের রিটার্ন দিতে হয়।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *