■ নাগরিক প্রতিবেদন ■
জামায়াতে ইসলামী এবং সমমনা ৯টি দলের সঙ্গে জোটকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম নির্বাচনী সমঝোতা, সামগ্রিক আদর্শিক ঐক্য নয় বলেছেন।
রোববার রাজধানীর বাংলামোটর রূপায়ন ট্রেড সেন্টারে দলের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘শরিফ ওসমান হাদির শাহাদাত বরণ এবং তাকে প্রকাশ্যে গুলি করার মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে আমরা বুঝতে পারছি যে, বাংলাদেশে আধিপত্যবাদী ও আগ্রাসী শক্তি এখনও কার্যকর রয়েছে। তারা চক্রান্ত করছে এই জুলাই প্রজন্মকে নিঃশেষ করে দেওয়ার জন্য।’
নাহিদ ইসলাম আরও উল্লেখ করেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা সমুন্নত রাখতে এবং আধিপত্যবাদী শক্তির অগ্রযাত্রা রুখতে এই মুহূর্তে বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘আমরা জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের সমমনা ৯ দলের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা একটি নির্বাচনী সমঝোতায় পৌঁছেছি এবং একত্রে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এই জোটকে কেবল নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার মাধ্যম নয়, বরং সংস্কার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি। নাহিদ ইসলামের ভাষ্যমতে, ‘দুর্নীতিবিরোধী লড়াই, রাষ্ট্রীয় সংস্কার এবং বিচার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে আমাদের এই ন্যুনতম কর্মসূচি থাকবে। জুলাই প্রজন্মকে রক্ষা করতে এবং গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী আকাঙ্ক্ষা যাতে ব্যাহত না হয়, সেজন্যই আমরা এই ঐক্যের জায়গায় পৌঁছেছি।’
সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির ভেতরে চলমান অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও পদত্যাগের বিষয়েও কথা বলেন নাহিদ ইসলাম। ৩০ জন নেতাকর্মীর পদত্যাগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যেকোনো সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে দ্বিমত বা বিরোধিতা থাকতে পারে। আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কেউ যদি ব্যক্তিগত কারণে দল ত্যাগ করেন, সেটি তার একান্ত সিদ্ধান্ত।’
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, নতুন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা, সেটাকে ব্যাহত করার জন্য তারা চক্রান্ত করছে। এই জুলাই প্রজন্মকে নিঃশেষ করে দেওয়ার জন্য তারা চক্রান্ত করছে। সেদিন ওসমান হাদির গায়ে গুলি লেগেছে, কালকে আপনার গায়ে লাগবে, পরশুদিন আমার গায়ে লাগবে। কারণ প্রথম ও প্রধান টার্গেট করা হচ্ছে এই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা অংশগ্রহণ করেছে তাদের; সারা দেশের তরুণরা, নাগরিকরা, শহীদ পরিবার, যারা আহত যোদ্ধা রয়েছে তাদের।
ফলে এই পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে আমাদের কাছে মনে হয়েছে এই মুহূর্তে এই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য, প্রতিযোগিতাপূর্ণ করার জন্য এবং যাতে আধিপত্যবাদী কোনো শক্তি আমাদের এই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী অগ্রযাত্রাকে ঠেকাতে না পারে সেজন্য আমাদের বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন। সেই তাগিদ থেকেই আমরা জামায়াতে ইসলামী ও তাদের যে সমমনা আট দল রয়েছে তাদের সাথে আমরা কথা বলেছি। তাদের যে নির্বাচনী সমঝোতা জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি সে নির্বাচনী সমঝোতায় সম্মত হয়েছে। আমরা জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি এবং এই সমমনা আট দল একত্রে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
জামায়াতের নেতৃত্বাধীন ১০ দলের জোটকে নির্বাচনী জোট দাবি করে নাহিদ ইসলাম বলেন, এটি নির্বাচনী সমঝোতা জোট। একদিকে যেমন নির্বাচনী বৈতরণি পার হওয়ার জন্য, অন্যদিকে প্রথম থেকে সংস্কার ও বিচারের প্রশ্নে আমরা কাজ করে যাচ্ছিলাম। সেই সংস্কার, বিচার ও আধিপত্যবাদবিরোধী, দুর্নীতিবিরোধী এই বিষয়গুলোতে আমাদের কর্মসূচি থাকবে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের যে সংকটগুলো রয়েছে, যেখান থেকে এই বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে। জুলাই প্রজন্মকে রক্ষা করতে হবে। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী যে আমাদের আকাঙ্ক্ষা সেটা যাতে কোনোভাবেই ব্যাহত না হয়, এজন্য আমরা একটা বৃহত্তর ঐক্যের জায়গায় পৌঁছেছি। আমরা আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণাটি দিচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা আগামীকাল আমাদের প্রার্থী চূড়ান্তভাবে ঘোষণা করব। সমঝোতায় আমাদের যারা প্রার্থী হবেন তারাই নমিনেশন ফরম জমা দেবেন। সারা বাংলাদেশে আমরা একত্রে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। জাতীয় নাগরিক পার্টি এবং তাদের সহযোগী সংগঠন গণভোটের পক্ষে ক্যাম্পেইন করবে। যেখানে আমাদের প্রার্থী থাকবে না, সেখানে অন্য প্রার্থী থাকবেন। এই সমঝোতা তাদেরকে সহায়তা করবে। তাদের পক্ষে ক্যাম্পেইন করবে।
সংবাদ সম্মেলনে দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, সংস্কারের প্রশ্নে আসন্ন গণভোটে এনসিপি ‘হ্যাঁ’ ভোটের পক্ষে জোরালো অবস্থান নেবে এবং সারাদেশে নির্বাচনী প্রচারণার পাশাপাশি গণভোটের পক্ষেও ক্যাম্পেইন করবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। আগামীকাল (সোমবার) জোটের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে বলেও উল্লেখ করেন এনসিপি আহ্বায়ক।
সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তবে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব নাহিদা সরোয়ার নিভাকে দেখা যায়নি।
এনসিপি থেকে পদত্যাগ করলেন তাসনুভা জাবিন
জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোট গঠনের প্রক্রিয়া ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ধরনকে পরিকল্পিত ও বিশ্বাসভঙ্গ বলে উল্লেখ করে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও অন্যতম শীর্ষ নেতা তাসনুভা জাবিন। একইসঙ্গে তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথাও জানিয়েছেন।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ ঘোষণা দেন তিনি।
ফেসবুকে এক দীর্ঘ লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জামায়াতের সঙ্গে জোট গঠনের বিষয়টি আদর্শগত বা নারী বিষয়ক আপত্তির চেয়েও বড় সমস্যা-যেভাবে পুরো প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে সাজিয়ে আনা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, এটি কোনো সাধারণ রাজনৈতিক কৌশল নয়, বরং শুরু থেকেই পরিকল্পিত ছিল।
তিনি বলেন, মাত্র কিছুদিন আগে সারাদেশ থেকে মনোনয়ন সংগ্রহের ডাক দিয়ে ১২৫ জনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এরপর হঠাৎ করে ৩০টি আসনের সমঝোতার সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়ে বাকি প্রার্থীদের কার্যত নির্বাচন করার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনভাবে সময়ক্ষেপণ করা হয়েছে, যাতে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও দাঁড়াতে না পারে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে তাঁর বিরুদ্ধে মনোনয়ন হারানোর ভয় থেকে জোটের বিরোধিতা করার অভিযোগ ওঠায় তিনি তা নাকচ করে বলেন, আগেই তিনি স্পষ্ট করেছিলেন—নিজের আসনে সমঝোতা হলে তিনি নির্বাচন করবেন না।
বক্তব্যে আরও বলা হয়, জামায়াতের সঙ্গে ৩০টি আসনের সমঝোতার পাশাপাশি চরমোনাই পীরের অনুসারীদের সঙ্গে প্রায় ৭০টি আসনে সমঝোতা হচ্ছে। অথচ এনসিপি শুরু থেকেই গণপরিষদ, দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র, মধ্যপন্থা, নারী ও বিভিন্ন জাতিসত্তাকে অন্তর্ভুক্ত করে রাজনীতির কথা বলে এসেছে—যা এখন বাস্তবে প্রতিফলিত হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
নিজেকে এনসিপির একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, দলের ভেতরে শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে পারস্পরিক ‘মাইনাসের রাজনীতি’ চলছে, যা দেশের জন্য একটি নতুন মধ্যপন্থার বাংলাদেশপন্থী রাজনীতি গড়ে তোলার পথে বড় বাধা।
তিনি অভিযোগ করেন, বিতর্ককে ‘বিপ্লব’ হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, আর যারা দলটির ঘোষিত নীতিকে বাস্তবে ধারণ করতে চেয়েছেন, তাদের আবেগী বা অরাজনৈতিক বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
জামায়াতের সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এনসিপি যদি আগে নিজের স্বতন্ত্র রাজনৈতিক পরিচয় ও শক্তি গড়ে তুলত, তবে ভবিষ্যতে জোট নিয়ে আলোচনা করা যেত। কিন্তু প্রথম নির্বাচনেই সব বিকল্প পথ বন্ধ করে দিয়ে জামায়াতকে একমাত্র উপায় হিসেবে সামনে আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি জামায়াতের সঙ্গে জোট করে দীর্ঘ সময় ক্ষমতার বাইরে ছিল। সেখানে এনসিপি এখন জামায়াতের অধীনে থাকা অবস্থায় সংসদে যাওয়ার চেষ্টা করছে, যা রাজনৈতিকভাবে আত্মঘাতী।
আজ আমি ভীষণ ভাঙা মন নিয়ে জানাচ্ছি—আমি এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছি এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারছি না। সমর্থকদের কাছ থেকে পাওয়া অনুদান ধাপে ধাপে ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
উপসংহারে তিনি বলেন, রাজনীতি তাঁর জন্য নতুন হলেও জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের জন্য তিনি আজীবন কাজ করে যাবেন। মধ্যপন্থী, বাংলাদেশপন্থী নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত গড়ার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
এনসিপির অংশ হচ্ছেন না মাহফুজ
জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নির্বাচনীয় সমঝোতার আওতায় প্রার্থী হতে প্রস্তাব তাঁকেও দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে মাহফুজ আলম বলেছেন, তিনি এই এনসিপির অংশ হচ্ছেন না।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে জামায়াত ও এনসিপির নির্বাচনী সমঝোতার ঘোষণা দেওয়ার পর আজ রোববার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে এ কথা বলেছেন মাহফুজ আলম।
ফেসবুকে মাহফুজ আলম লিখেছেন, ‘নাগরিক কমিটি ও এনসিপি জুলাইয়ের সম্মুখসারির নেতৃত্বে সংগঠিত হয়েছিল। এ দুটি সংগঠনে আমার জুলাই সহযোদ্ধারা থাকায় গত দেড় বছর আমি চাহিবামাত্র তাদের পরামর্শ, নির্দেশনা ও পলিসিগত (নীতিগত) জায়গায় সহযোগিতা করেছি।’
বিদ্যমান বাস্তবতায় এই সম্পর্ক আর থাকছে না জানিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, ‘আমার জুলাই সহযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান, স্নেহ ও বন্ধুত্ব মুছে যাবে না। কিন্তু আমি এ এনসিপির অংশ হচ্ছি না। আমাকে জামায়াত-এনসিপি জোট থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়নি, এটা সত্য নয়। কিন্তু ঢাকার কোনো একটা আসনে জামায়াত-এনসিপি জোটের প্রার্থী হওয়ার চাইতে আমার লং স্ট্যান্ডিং পজিশন (দীর্ঘদিনের অবস্থান) ধরে রাখা অধিক গুরুত্বপূর্ণ।’
নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘নূতন রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বন্দোবস্ত, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক লড়াই, সামাজিক ফ্যাসিবাদ মোকাবিলা, রিকনসিলিয়েশন, দায়-দরদের সমাজসহ অনেক কথাই আমি বলেছি, যেগুলো আমার জুলাই সহযোদ্ধারা উক্ত দুটি সংগঠন থেকে বারবার বলেছেন। কিন্তু তারা এগুলো ধারণ করতেন? এনসিপিকে একটা বিগ জুলাই আম্ব্রেলা আকারে স্বতন্ত্র উপায়ে দাঁড় করানোর জন্য আমি সকল চেষ্টাই করেছি। কিন্তু অনেক কারণেই সেটা সম্ভব হয়নি।’
ইতিহাসের এই চলতি পর্বে বাংলাদেশ একটা শীতল যুদ্ধে আছে উল্লেখ করে মাহফুজ বলেন, ‘এ পর্বে কোনো পক্ষ না নিয়ে নিজেদের বক্তব্য ও নীতিতে অটল থাকাই শ্রেয়।’
বিকল্প তরুণ/জুলাই শক্তির সম্ভাবনা এখনো শেষ হয়ে যায়নি মন্তব্য করে মাহফুজ আলম বলেন, ‘বরং আমি গত দেড় বছরে যা বলেছি, যে নীতিতে বিশ্বাস রেখেছি, তা অব্যাহত রাখব। রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক সকল উপায়ে।’
কেউ তাঁর সঙ্গে যোগ দিলে তাঁকে স্বাগত জানাবেন মাহফুজ আলম। নতুন রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বন্দোবস্ত সম্ভব ও বাস্তব দাবি করে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মাহফুজ আলম। বলেছেন, ‘বিকল্প ও মধ্যপন্থী তরুণ/জুলাই শক্তির উত্থান অত্যাসন্ন।’
