ঈদে ৯১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৪টি পশু কোরবানি হয়েছে

■ নাগরিক প্রতিবেদক ■

চলতি বছর ঈদুল আজহায় সারাদেশে ৯১ লাখের বেশি পশু কোরবানি করা হয়েছে। এর মধ্যে গরু ও ছাগলের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। 

মঙ্গলবার (১০ জুন) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সরকারি সংস্থা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবমতে, ২০২৫ সালে দেশে ৯১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৪টি পশু কোরবানি হয়েছে। যার মধ্যে গরু/মহিষ ৪৭ লাখ ৫ হাজার ১০৬টি, ছাগল/ভেড়া ৪৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৬৮টি। এছাড়া অন্যান্য পশু কোরবানি হয়েছে ৯৬০টি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর মূলত পশু কোরবানির হিসাব করে থাকে। অধিদপ্তর বলছে, স্তরায়িত দৈব নমুনায়নের (স্ট্র্যাটিফায়েড র‍্যান্ডম স্যাম্পলিং) ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করে এবারের হিসাব করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলার ৩টি গ্রাম (ছোট, মাঝারি এবং বড়) থেকে অন্তত এক শতাংশ নমুনা সংগ্রহ করে হিসাবটি করা হয়েছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এবার কোরবানির পশু অবিক্রীত ছিল ৩৩ লাখ ১০ হাজার ৬০৩টি। কারণ হিসেবে অধিদপ্তর বলছে, এবার কোরবানির পশুর উৎপাদন বেশি ছিল। তাই পশু অবিক্রীত থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। তা ছাড়া অবিক্রীত এই পশু সামনে বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানে দরকার পড়বে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এবার সবচেয়ে কম পশু কোরবানি হয়েছে সিলেট বিভাগে। এই সংখ্যা ৩ লাখ ১৯ হাজার ৮২৩ টি। এরপর কম পশু কোরবানি হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে। এই সংখ্যা ৩ লাখ ৮৩ হাজার ১৬২টি। আর সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি হয়েছে রাজশাহী বিভাগে। এই সংখ্যা ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৯৭১। এর পর বেশি কোরবানি হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এই সংখ্যা ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪০টি। চট্টগ্রাম বিভাগে কোরবানি হয়েছে ১৭ লাখ ৫৩ হাজার ৭৩২টি গবাদিপশু। খুলনা বিভাগে কোরবানি হয়েছে ৮ লাখ ৪ হাজার ২২৪ টি গবাদিপশু।  

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবু সুফিয়ান বলেন, এবার কোরবানি কিছুটা কম হয়েছে, এটা দৃশ্যমান। ছাগল-ভেড়া এ বছর কিছুটা কম কোরবানি হয়েছে। এতে মনে হচ্ছে ব্যক্তিপর্যায়ে কোরবানি কিছুটা কমেছে। আরও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করতে হবে। বিস্তারিত বিশ্লেষণের পর কেন এবার কোরবানি কমল, তা বলা যাবে।

মন্ত্রণালয় বলেছে, এবার কোরবানির পশু অবিক্রীত ছিল ৩৩ লাখ ১০ হাজার ৬০৩টি। এর কারণ হিসেবে অধিদপ্তর বলছে, এ বছর কোরবানির পশুর উৎপাদন বেশি ছিল। তাই কোরবানির পশু অবিক্রীত থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। তা ছাড়া অবিক্রীত এই পশু সামনে বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানে দরকার হবে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের ডিন মো. রুহুল আমিন বলেন, মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা হয়তো ভালো না, যার কারণে এবার কোরবানি কম হয়েছে। সাধারণত রাজনৈতিক নেতারা কোরবানির জন্য বড় আকারের গরু কেনেন। আবার অনেক নেতা একাধিক গরু কোরবানি দেন। আওয়ামী লীগের (এখন কার্যক্রম নিষিদ্ধ) অনেক নেতা এখন পলাতক। এর প্রভাব কোরবানির পশু বিক্রির ক্ষেত্রে পড়তে পারে।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *