■ নাগরিক নিউজ ডেস্ক ■
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার শাবানা মাহমুদকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত করেছেন। তিনি হলেন প্রথম মুসলিম নারী, যিনি যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের দায়িত্ব পেলেন। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এই মন্ত্রী অভিবাসন, পুলিশিং এবং জাতীয় নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলো নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, দুই শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা জাতিকে রক্ষা করেছেন। আজ আমরা একটি নতুন অধ্যায় শুরু করছি। আমরা নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদকে স্বাগত জানাই।
নিজের এক্স পোস্টে শাবানা লিখেছেন, স্বরাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আমার জীবনের সম্মানের। সরকারের প্রথম দায়িত্ব হলো তার নাগরিকদের নিরাপত্তা। দায়িত্ব পালনকালে প্রতিদিন, আমি সেই উদ্দেশ্যেই নিবেদিত থাকব।
শাবানা মাহমুদের জন্ম ১৯৮০ সালে ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে। তবে তিনি পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণাধীন আজাদ-কাশ্মীর বংশোদ্ভূত। তার বাবা-মা আজাদ কাশ্মীরের মিরপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তবে শাবানা মাহমুদের শৈশব কেটেছে সৌদি আরবের তায়েফে। তিনি ইংরেজির পাশাপাশি উর্দু ও মিরপুরি ভাষায় কথা বলতে পারেন।
পূর্ণ মন্ত্রী হওয়ার আগে শাবানা যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ছায়া মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি গত দুই বছর ধরে উপ-নির্বাচনের সময় লেবার পার্টির নির্বাচনী প্রচারণার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৬ সাল থেকে শাবানা লেবার পার্টির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। ৪ জুলাইয়ের নির্বাচনের জন্য দলের ইশতেহার তৈরিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি।
অক্সফোর্ড গ্রাজুয়েট এই নারী রাজনীতিক ২০১০ সালে প্রথমবারের মতো লেবার পার্টির টিকিটে নির্বাচিত হয়েছিল ও তখন থেকেই জয়ী হয়ে আসছে। এবারের নির্বাচনে তিনি ১৫ হাজার ৫৫৮ ভোট পেয়ে নিজ আসনে জয়ী হয়েছেন।
অ-ব্রিটিশ মুসলিম নারী হিসেবে ২০১০ সালে তিনি প্রথমবারের মতো হাউস অব কমন্সে যান। ওই বছরই প্রথম মুসলিম অ-ব্রিটিশ হিসেবে আরও দুজন নারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত রুশনারা আলী ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত ইয়াসমিন কুরেশি সংসদ সদস্য হয়েছিলেন।
যুক্তরাজ্যের নতুন সরকারে অ্যাঞ্জেলা রায়নারকে উপপ্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন র্যাচেল রিভস। এর মধ্য দিয়ে ইতিহাস গড়েছেন তিনি। যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে তিনিই প্রথম নারী অর্থমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৪১২টি আসনে জয় পায় লেবার পার্টি। অন্যদিকে ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টি পায় ১২১টি আসন। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য কোনো দলের প্রয়োজন হয় ৩২৬ আসন।