■ নাগরিক প্রতিবেদক ■
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন বাংলাদেশে সফররত পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসা ফিরোজায় যান ইসহাক দার। এ সময় খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন তিনি।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এসব তথ্য জানিয়ে বলেছেন, সাক্ষাৎকালে ইসহাক দারের সঙ্গে আলাপ করেন খালেদা জিয়া।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ইমরান হায়দার।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে ইসহাক দারের সাক্ষাৎ শেষে জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে কুশল বিনিময় এবং তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য ইসহাক দার এসেছিলেন। তিনি পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানান।
জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলাপকালে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন ইসহাক দার। দুই দেশের মানুষের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যাতে সবাই মিলে কাজ করতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামীতে পাকিস্তানের জনগণের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের সম্পর্ক কীভাবে স্বাভাবিক করা যায়— এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে পাকিস্তান। এছাড়াও বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে সেখানে আলোচনা হয়েছে।
ইসহাক দার খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে কথা বলেছেন জানিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, দেশের রাজনীতি নিয়ে তেমন কোনো কথা হয়নি। তবে সার্কের বিষয়ে কথা হয়েছে দুই নেতার। তাঁরা এ নিয়ে স্মৃতিচারণাও করেছেন। পটপরিবর্তনের পর বাংলাদেশ যে সুন্দর রাজনৈতিক পরিবেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, সে বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এ সময় ইসহাক দারের সঙ্গে ছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী তারিক বাজওয়া, দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিরেক্টর জেনারেল (সাউথ এশিয়া ও সার্ক) ইলিয়াস মেহমুদ নিজামি, ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার, ডেপুটি হাইকমিশনার মুহাম্মাদ ওয়াসিফ এবং পলিটিক্যাল কাউন্সেল কামরান দাঙ্গল।
গতকাল (২৩ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার পর পাকিস্তানের বিশেষ একটি ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান ইসহাক দার। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম।
প্রায় ১৩ বছর পর কোনো পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে এলেন। যা পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।