নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা চায় পুলিশ

■ নাগরিক প্রতিবেদন ■

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠে ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি করেছেন পুলিশ সুপাররা। এটি বাস্তবায়ন না হলে পুলিশের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা চেয়েছেন তারা।

নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের সম্মেলনে অংশ নিয়ে এ দাবি জানান তারা। পাশাপাশি সুষ্ঠু ভোটের জন্য নানান দাবির কথা তুলে ধরেন।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ডিসি-এসপি, সব রেঞ্জের ডিআইজি, বিভাগীয় কমিশনার এবং আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এক সভায় এ দাবি জানানো হয়। সভায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত পুলিশ সুপাররা (এসপি) নির্বাচনি নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার নানা চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন।

এসপিরা বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করে আসামিসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করছি। আমাদের যানবাহন সংকট রয়েছে। পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় জনবল বাড়ানো প্রয়োজন। একই দিনে দুটি নির্বাচন বড় চ্যালেঞ্জ হবে। নির্বাচনের দিন অসুস্থ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ভোট দিতে গেলে পুলিশকে বলা হয় সহযোগিতা করার জন্য। এখানে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কর্মীদের রাখার জন্য সুপারিশ করেন তারা।

পুলিশ সুপাররা আরও বলেন, বিগত নির্বাচনগুলোতে পুলিশের যে বাজেট ছিল সেটা বৈষম্য ছিল। এই নির্বাচনে বাজেট বাড়ানো প্রয়োজন। পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাড়ানোর জন্য সুপারিশ করছি। এছাড়া আমরা পুলিশের ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার চাই।

সম্মেলনে জেলা প্রশাসকরা বলেন, মাঠ পর্যায়ে এখনো যে বৈধ অস্ত্র রয়েছে, দ্রুত সেগুলো উদ্ধার করতে আপনাদের সহযোগিতা চাই। দূর অঞ্চলে যাতায়াতের জন্য হেলিকপ্টার দেওয়ার সুপারিশ করছি। এআই এবং অপতথ্য প্রচার আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছি। আইনের বাইরে আমরা একটি কাজও করতে রাজি নই। আমাদের অনেক উপজেলায় গাড়ি পুড়ে গেছে এবং সেসব উপজেলায় গাড়ি প্রয়োজন। এছাড়া গণভোটের প্রচারের জন্য সময় বাড়ানো দরকার। সীমান্ত জেলাগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো প্রয়োজন বলেও জানান ডিসিরা।

ডিসিরা আরও বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে অপতথ্য ও গুজব ছড়ানো এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং আইনের বাইরে কোনো কাজ করা হবে না বলে তারা দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এ ছাড়া বিভিন্ন উপজেলায় সহিংসতায় সরকারি যানবাহন পুড়ে যাওয়ায় সেখানে নতুন গাড়ির প্রয়োজন, গণভোটের প্রচারের সময়সীমা বাড়ানো এবং সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়েও সভায় গুরুত্ব দেওয়া হয়।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *