■ নাগরিক প্রতিবেদন ■
রাজধানীতে জুলাই ঐক্যের ‘মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন’ কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে। কর্মসূচি ঘিরে প্রগতি সরণিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় রামপুরা ব্রিজ থেকে লং মার্চটি শুরু হয়। বিকেল ৪টার দিকে বাড্ডার হোসেন মার্কেটের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে লং মার্চ থামিয়ে দেয় পুলিশ।
অগ্রসর হতে না পেরে জুলাই ঐক্যের নেতাকর্মীরা প্রগতি সরণিতে অবস্থান নেন। এ সময় তারা ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এবং জুলাই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। পাশাপাশি ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করার দাবিও তোলেন।
পুলিশের ব্যারিকেড ও সড়কে নেতাকর্মীদের অবস্থানের কারণে বিকাল ৩টা থেকে প্রগতি সরণিতে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
গুলশান জোনের এক সহকারী কমিশনার বলেন, জুলাই ঐক্যের ব্যানারে করা কর্মসূচি উত্তর বাড্ডার হোসেন মার্কেটের সামনে আটকে দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভাঙতে চাইলে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। এতে কেউ আহত হয়নি। এরপর তাঁরা সেখানেই বক্তব্য দিয়ে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে সড়ক ছেড়ে চলে যান।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) রওনক আলম আজ সন্ধ্যায় বলেন, ‘নিরাপত্তার জন্য আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। বাড্ডা এলাকায় মিছিলকারীদের আটকে দেওয়া হয়। তারা বিকেলেই সেখান থেকে চলে যায়। এরপর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।’
জুলাই ঐক্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাজাপ্রাপ্তদের দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে এবং ‘ভারতীয় প্রক্সি রাজনৈতিক দল ও সরকারি কর্মকর্তাদের অব্যাহত ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগে ‘মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন’ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়।
এমন পরিপ্রক্ষিতে নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (আইভ্যাক) আজ বেলা ২টা থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
অন্যদিকে বাংলাদেশে ভারতের কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে দিল্লি। ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে বিষয়টি জানিয়েছে দিল্লি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিবেশের অবনতিতে ভারতের তীব্র উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তার কূটনৈতিক নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশে মিশন ও পোস্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে আশা করেছে ভারত।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে ভারতে অবস্থানরত জুলাই গণহত্যার পর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে এবং ভারতীয় প্রক্সি, রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যম ও সরকারি কর্মকর্তাদের অব্যাহত ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ‘মার্চ টু হাইকমিশন’ কর্মসূচি ঘোষণা করে জুলাই ঐক্য।
