■ নাগরিক প্রতিবেদন ■
ঢাকার সাত সরকারি কলেজের অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসক হিসেবে দুই বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস।
চাকরির নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হওয়ায় অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াসকে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দুই বছরের জন্য নিয়োগ দিয়ে রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
ইউজিসির এক সদস্য বলেন, মূলত সাত কলেজের অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার জন্যই অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াসকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁকে সাত কলেজের অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পূর্ণকালীন সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান বলেন, সাত কলেজের জন্য নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার আগে অন্তর্বর্তী প্রশাসক হিসাবে ঢাকা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। আমরা সাত কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ঢাকার এই সাত সরকারি কলেজ হলো—ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। এসব কলেজে শিক্ষার্থী প্রায় দুই লাখ। শিক্ষক এক হাজারের বেশি।
শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ আন্দোলনের মুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের অধিভুক্ত বাতিল করে সাত কলেজকে স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো বা বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা প্রণয়ন করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি কমিটি। প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গঠনের আগে কলেজগুলোর দায়িত্ব নিতে একটি একজন অধ্যক্ষের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন গঠনের প্রস্তাব করেছে ইউজিসি।
শনিবার সরকারি সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের কার্যক্রমের অংশ হিসাবে অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের প্রজ্ঞাপনের দাবিতে সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিলেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। দাবি না মানলে আজ সোমবার থেকে মাঠে কঠোর কর্মসূচিসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
এর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে এ সাত কলেজের জন্য নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর নাম হবে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’। নতুন এ বিশ্ববিদ্যালয় চলবে ‘হাইব্রিড মডেলে’। এখানে ৪০ শতাংশ ক্লাস অনলাইনে আর ৬০ শতাংশ ক্লাস সশরীর নেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। নতুন এ বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনকার মতো একেকটি কলেজে সব বিষয় পড়ানো হবে না। এক বা একাধিক কলেজে অনুষদভিত্তিক ক্লাস হবে। যেমন সরকারি তিতুমীর কলেজে হতে পারে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত বিষয়গুলোর ক্লাস। এভাবে অন্য কলেজে হতে পারে অন্য অনুষদভুক্ত বিষয়ের ক্লাস।