■ নাগরিক প্রতিবেদক ■
নতুন বেতন কাঠামো নিয়ে পে-কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সংগঠন ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট’-এর প্রতিনিধিদল। এ সময় তারা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সর্বনিম্ন বেতন ৩০ হাজার ও সর্বোচ্চ বেতন এক লাখ ৫৬ হাজার টাকা করাসহ ১০ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন।
প্রস্তাবে গ্রেড-১ এর কর্মকর্তাদের মূল বেতন ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা করার সুপারিশ করতে অনুরোধ জানানো হয়। এ ছাড়া গ্রেড-২ এ ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, গ্রেড-৩ এ ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা, গ্রেড-৪ এ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা, গ্রেড-৫ এ ৯৫ হাজার টাকা, গ্রেড-৬ এ ৮০ হাজার টাকা, গ্রেড-৭ এ ৭০ হাজার টাকা, গ্রেড-৮ এ ৬২ হাজার টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
আর গ্রেড-৯ এ ৫৫ হাজার টাকা, গ্রেড-১০ এ ৫০ হাজার টাকা, গ্রেড-১১ এ ৪৫ হাজার টাকা, গ্রেড-১২ এ ৪০ হাজার টাকা, গ্রেড-১৩ এ ৩৫ হাজার টাকা, গ্রেড-১৪ এ ৩০ হাজার টাকা মূল বেতনের প্রস্তাব দেন এমপিওভুক্ত জোটের প্রতিনিধিরা।
এমপিও শিক্ষকদের প্রস্তাবিত ১০ দফা
১. এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের প্রারম্ভিক বেতন প্রস্তাবিত নবম গ্রেডে দিতে হবে।
২. বাড়ি ভাড়া সরকারি চাকরিজীবীদের মতো মূল বেতনের ৪০-৭০ শতাংশ হারে দিতে হবে।
৩. উৎসব ভাতা বা বোনাস মূল বেতনের সমপরিমাণ দিতে হবে।
৪. বৈশাখী ভাতা মূল বেতনের সমপরিমাণ দিতে হবে।
৫. বিএড আইন বাতিল করতে হবে।
৬. কমিটি প্রথা বিলুপ্ত করতে হবে।
৭. অবসর ফান্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা অবসরের ৬ মাসের মধ্যে দিতে হবে।
৮. শিক্ষক/কর্মচারীদের রেশন সুবিধায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৯. শ্রান্তি বিনোদন ভাতা ও সুবিধা দিতে হবে।
১০. এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ করতে হবে।
সভায় এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের প্রতিনিধিদলে ছিলেন অধ্যক্ষ মাইন উদ্দীন, অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী, মো. মতিউর রহমান, মো. হাবিবুল্লাহ রাজু, মো. শান্ত ইসলাম, অধ্যক্ষ মো. আলাউদ্দিন, মোহাম্মদ নুরুল আমিন হেলালী, মো. জহিরুল ইসলাম, মো. তোফায়েল সরকার, মো. রবিউল ইসলাম, মো. রাসেল মন্ডল ও মো. মাহবুব আলম।
