:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
সারা দেশে আগামী ৭২ ঘণ্টায় কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আগামীকাল সোমবার থেকে বৃষ্টিপাত বেড়ে তাপপ্রবাহ কমার পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, আজ (৫ মে) বিকেল ৪টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের ওপর দিয়ে বজ্রপাত ও বিচ্ছিন্নভাবে শিলাবৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে। সেজন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এছাড়া আগামীকাল (সোমবার) থেকে সারা দেশে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। এতে করে যেসব জায়গায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল সেগুলো ধীরে ধীরে প্রশমিত হবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে বলছে, দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কি. মি. বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। যা দমকা হাওয়া আকারে ৪০-৫০ কি. মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
রোববার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
হবিগঞ্জে ভয়াবহ শিলাবৃষ্টি
তীব্র দাবদাহের পর হবিগঞ্জে ভয়াবহ শিলাবৃষ্টি ও ঝড় হয়েছে। এতে জমির পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ।
রোববার দুপুর আড়াইটা থেকে জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় এ শিলাবৃষ্টি হয়। দেড় ঘন্টা ব্যাপী চলে প্রকৃতির তাণ্ডব।
শিলাবৃষ্টির প্রতিটির ওজন ছিল ২৫০ গ্রাম থেকে ৩শ গ্রাম। ১ ঘন্টা থেমে থাকার পর বিকেল ৫টা থেকে আবার শুরু হয় ঝড় ও দমকা হাওয়া। বৃষ্টির ফলে জেলার তাপমাত্র অনেকটা কমে এসেছে। তবে কৃষকরা অনেকটা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পাকা ধান উঠানো নিয়ে।
শিলাবৃষ্টির কারণে নিম্নআয়ের মানুষের ঘরের টিনের চাল ফুটো হয়ে যায়। রাস্তায় রাখা অনেক যানবাহনেরও ক্ষতি হয়েছে এ বৃষ্টিতে।
গত ২০ বছরে এত বড় বড় শিলাবৃষ্টি দেখেননি জেলাবাসী।