৮১ বছর বয়সী রানী হামিদ যাচ্ছেন দাবা অলিম্পিয়াডে

:: ক্রীড়া প্রতিবেদক ::

৮১ বছর বয়সী রানী হামিদ যাবেন অলিম্পিয়াডে দাবা খেলতে। তিনি বাংলাদেশের প্রথম মহিলা আন্তর্জাতিক দাবা মাস্টার।

তিনি বাংলাদেশের দাবা জগতের একজন বিশিষ্ট নাম। ১৯৪৪ সালে সিলেট জেলার জকিগন্জ উপজেলায় এক অভিজাত পরিবারে উনার জন্মগ্রহণ করেন। উনার ডাক নাম রানী। পুরো নাম সৈয়দা জসিমুন্নেসা খাতুন। স্বামীর নামের সাথে হামিদ নামটি যোগ করেছেন।

উনি ছোটবেলা থেকেই দাবা খেলতে পছন্দ করেন। কারণ তার বাবা দাবা খেলতেন, যা দেখে তিনি ছোটবেলা থেকেই দাবা খেলা পছন্দ করতেন।

৩৪ বছর বয়স থেকে দাবা খেলা শুরু করেন জাতীয় পর্যায়ে। পরবর্তীতে খুব দ্রুত খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি মোট ১৯ বার জাতীয় মহিলা দাবা শিরোপা জিতেছেন।

শুধু জাতীয় পর্যায়ে নয় তিনি তিনবার ব্রিটিশ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছেন।

১৯৮৫ সালে ফিদে তাকে ওমেন ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার ডব্লিউআইএম উপাধিতে ভূষিত করেন।

তিনি শুধু শিরোপা জয় করেই থেমে যাননি বরং বাংলাদেশের দাবা খেলার প্রচার ও প্রাসরের গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

তিনি নিজের ব্যক্তিগত চ্যালেন্জিং এর বিষয় টি মাথায় রেখে,নারীদের দাবা খেলার পরিবেশ উন্নত করার জন্য বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন।

উনার দুই ছেলে এবং এক মেয়ে নিয়ে সংসার। একজন নারীর নিজস্ব ভাবনা ও শক্তির সাথে সাথে পরিবারের পাশে থেকে সাপোর্ট করলে ঐ নারী অনেক দূর যেতে পারে।

অবশ্যই উনার একাগ্রতা, আগ্রহ, নিয়মিত থেকে পরিশ্রমতো ছিলোই। সাথে উনার স্বামী লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ হামিদ, যিনি সবসময় রানী হামিদকে অনুপ্রেরণা দিয়ে এসেছেন। কেননা তিনি নিজেও একজন ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন।

তাই উনার স্ত্রীর দাবার প্রতি ভালোবাসাকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য উনি সবসময় উৎসাহ দিয়ে গেছেন।রানী হামিদের এই উৎসাহই উনাকে পরবর্তী ধাপে এগিয়ে নিয়ে গেছে।

রানী হামিদের দাবা খেলার সাথে সাথে ভ্রমণ করতে ও বই পড়তে ভীষণ ভালোবাসেন।

উনার জীবন থেকে আমরা এটাই শিখতে পারিযে, বয়স কিছুই নয়।

একজন মানুষের ইচ্ছে নিয়মিত থেকে পরিশ্রম করে এগিয়ে যাওয়ার পথটা একটা সময় সহজ হয়ে যায়। আর পাশে যদি থাকে সাপোর্টিভ স্বামী ও পরিবার তাহলে কথাই নেই।

শেষে বলতে চাই, ৮১ বছর বয়স পর্যন্ত আমি যদি বেঁচে থাকি,কখনো আশা হারাবো না। নিয়মতি হলে ও পরিশ্রম করলে যে যেকোন বয়সেই সাফল্য পাওয়া যায়।পরিশ্রম ও নিয়মিত থাকলে, কোন কিছুই বিফলে যায় না।

রানী হামিদের জন্য শুভকামনা রইলো।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *