রাজধানীতে বাসায় ডাকাতি, দুধের শিশুকে নিয়ে গেছে ডাকাতরা

■ নাগরিক প্রতিবেদন ■ 

রাজধানীর আজিমপুরের লালবাগ টাওয়ারের পাশের একটি বাসায় ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতরা বাসার মালামালের সঙ্গে নিয়ে গেছে একটি দুধের শিশুকেও।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের ডিসি মো. জসীম উদ্দীন শুক্রবার সন্ধ্যায় এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জসীম উদ্দিন জানান, শুক্রবার সকালে আজিমপুরের ওই বাসায় ডাকাতি হয়। পরে ভুক্তভোগী পরিবার লালবাগ থানায় অভিযোগ করলে শিশুটিকে উদ্ধারে কাজ শুরু করে পুলিশের কয়েকটি দল।

শিশুটির মায়ের নাম ফারজানা আক্তার। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে সাঁট মুদ্রাক্ষরিক পদে চাকরি করেন। তিনি আজিমপুরের লালবাগ টাওয়ারের পাশের একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। তার স্বামী বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।

জানা গেছে, শুক্রবার সকালে আজিমপুরে ফারজানা আক্তারের বাসায় এই ঘটনা ঘটে। ডাকাতেরা বাসা থেকে নগদ দেড় লাখ টাকা ও চার ভরি স্বর্ণালংকার নেওয়ার পাশাপাশি একটি শিশুকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

পুলিশ কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন বলেন, সপ্তাহখানেক আগে থেকে ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে এক নারী সাবলেটে থাকতে শুরু করেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই নারীর যোগসাজশেই বাচ্চা চুরি ও বাসায় ডাকাতি হয়েছে। তবে সাবলেটের ওই নারীর কোনো পরিচয় সংক্রান্ত কাগজপত্র এখনও পাওয়া যায়নি।

ওই ঘটনার ফুটফুটে শিশুটির ছবিসহ একটি পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে। ফারজানা আক্তারের সহকর্মী ওই পোস্টে লিখেছেন, “আজ শুক্রবার আজিমপুর মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টার, লালবাগ টাওয়ারের পাশের গলি থেকে আমার অফিস কলিগ ফারজানার বাসায় ডাকাতি হয়েছে। ডাকাত (একজন মহিলা আর দুজন পুরুষ) জিনিসপত্র ও একমাত্র বাচ্চা নিয়ে গেছে।”

গত বৃহস্পতিবার এক নারী সাবলেট হিসেবে ওই বাসায় উঠেছিলেন বলে জানিয়েছেন লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাশৈনু। তিনি বলেন, “পরিচিত হিসেবে কোনো ডকুমেন্টস না রেখেই মেয়েটিকে ওঠানো হয়। সেই মেয়েটি আমাদের প্রধান সাসপেক্ট। কিন্তু তার নাম-ঠিকানা বা কোথায় কাজ করত কিছুই বলতে পারছেন না গৃহকর্ত্রী।”

ঘটনার সময় ওই নারী বাসায় ছিলেন জানিয়ে ওসি বলেন, “জড়িত অন্যরা এলে সাবলেটে ওঠা মেয়েটি দরজা খুলে দেয়। তারপর তারা গৃহকর্ত্রীকে বেঁধে অন্যান্য জিনিসপত্রের সঙ্গে বাচ্চাটিকে নিয়ে চলে যায়।”

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *