জাপানের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি

■ নাগরিক নিউজ ডেস্ক ■ 

জাপানের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সানায়ে তাকাইচি। নতুন জোট গঠনের জন্য ১১ ঘণ্টার মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করায়  দেশটি সামাজিক রক্ষণশীল তাকাইচিকে দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেয়েছে।

পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে তাকাইচি পান ১২৫ ভোট, প্রয়োজনের থেকে যা একটি বেশি। নিম্মকক্ষের এক ভোটাভুটিতে পার্লামেন্টের ৪৬৫ আসনের ২৩৭ ভোট পান তাকাইচি। জয়ের জন্য তার দরকার ছিল ২৩৩টি ভোট। তিনি ৪ ভোট বেশি পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।

মঙ্গলবারই জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অভিষেক হবে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবের এই ঘনিষ্ঠ সহযোগীর। জাপানের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী এত বছরের মধ্যে একটি সংখ্যালঘু সরকারের নেতৃত্ব দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষ করে আগামী সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্ধারিত সফরসহ তার সামনে রয়েছে অনেক চ্যালেঞ্জ।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় জাপানের ১০৪তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন তিনি। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি। ইশিবা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালেই এলডিপি ও এর জোটসঙ্গীরা জাপানের পার্লামেন্টের উভয়কক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়। সে ধাক্কাতেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এক বছর পার হওয়ার আগেই ইশিবাকে পদত্যাগ করতে হয়।

১৯৬১ সালে নারায় জন্মগ্রহণ করেন সানায়ে তাকাইচি। তার বাবা ছিলেন বেসরকারি চাকুরে। মা পুলিশ অফিসার। তাকাইচি একসময় ছিলেন হেভি মেটাল ড্রামার। আশির দশকে যুক্তরাষ্ট্র-জাপান বাণিজ্য বিরোধের সময় তিনি রাজনীতিতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর থেকে তিনি মোট ১০ বার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন, পরাজিত হয়েছেন মাত্র একবার। ধীরে ধীরে তিনি এলডিপির অন্যতম স্পষ্টভাষী রক্ষণশীল নেত্রী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।

গত ৪ অক্টোবর লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) জয়লাভ করে। যে দলটি গত কয়েক দশক ধরে প্রায় অব্যাহত ভাবে শাসন করে আসছে কিন্তু ক্রমশ অজনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তবে ছয় দিন পর, কোমেইটো পার্টি, যা তাকাইচির রক্ষণশীল মতাদর্শ এবং এলডিপির একটি তহবিল কেলেঙ্কারি নিয়ে অস্বস্তিতে তাদের জোট ত্যাগ করে। 

ফলে, তাকাইচি জাপান ইনোভেশন পার্টি (জেআইপি) এর সঙ্গে একটি জোট গঠন করতে বাধ্য হন। যা সোমবার রাতে স্বাক্ষরিত হয়। এসময় তাকাইচি ‘জাপানের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার এবং জাপানকে এমন একটি দেশ হিসেবে পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দেন।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *