খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি, বিজিবি মোতায়ন

■ খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ■

খাগড়াছড়িতে ১৪৪ জারি করেছে জেলা প্রশাসন। সদর উপজেলায় শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা থেকে শুরু করে অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে এ ১৪৪ ধারা।

দুপুরের দিকে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও সদর উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি এবং জনগণের জান ও মালের ক্ষতিসাধনের আশঙ্কা রয়েছে। তাই ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারা জারির আদেশ করা হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও সদর উপজেলায় এই আদেশ জারি করা হয়। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। 

এদিকে, খাগড়াছড়িতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। শনিবার বিজিবি সদর দপ্তর থেকে জনসংযোগ কর্মকর্তার শরীফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।

এদিকে, এক ছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে জেলায় সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ চলছে। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্য দিয়ে চলছে এই অবরোধ চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল।

অবরোধকারীরা জেলার বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়েছেন, গাছে অগ্নিসংযোগ করেছেন। ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহন ভাঙচুর করেছেন। খাগড়াছড়ির আলুটিলা পুনর্বাসন এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে আসা লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর ও চালককে পিটিয়ে আহত করেছেন অবরোধকারীরা। দুপুর ১টার দিকে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ ও উপজেলা পরিষদ এলাকায় উত্তেজিত পাহাড়ি ও বাঙালিদের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। পুরো জেলায় পরিস্থিতি থমথমে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে সাজেকে বেড়াতে যাওয়া অন্তত দেড় হাজার পর্যটক নিরাপত্তাজনিত কারণে বর্তমানে দীঘিনালায় অবস্থান করছেন।

এর আগে এদিন সকাল থেকে খাগড়াছড়িতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদ ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকে শুরু হয় সড়ক অবরোধ।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি সদর এলাকায় সিঙ্গিনালা এলাকায় অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন।

এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শায়ন শীল (১৯) নামে অভিযুক্ত এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।  

এদিকে ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *