:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
কিশোর আব্দুল মোতালিবকে হত্যার ঘটনায় রাজধানীর ধানমন্ডি থানার মামলায় সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে শাজাহান খানের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. খোকন মিয়া। আদালত তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানকে শুক্রবার বেলা তিনটার পর কড়া নিরাপত্তায় ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। এরপর তাঁকে হেলমেট ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে হাজতখানা থেকে আদালতের এজলাস কক্ষে নেওয়া হয়।
গত ৪ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডি থানাধীন ঝিগাতলা বাস স্ট্যান্ড এলাকার ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যোগ দেন আব্দুল মোতালিব (১৪)। পরে তিনি বুকে ও গলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় গত ২৬ আগস্ট নিহতের পিতা আব্দুল মতিন বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলা করেন। প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং শাহজাহান খানসহ ১৭৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এজাহারে। এ মামলায় শাজাহান খানকে ২৩নং আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
শাজাহান খান মাদারীপুর-২ আসন থেকে টানা অষ্টমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি তিনি। ১৯৮৬ সালে প্রথমবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাদারীপুর-২ আসন থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন শাজাহান খান। একই আসন থেকে পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।