■ নাগরিক প্রতিবেদক ■
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আলোচ্য সময়ে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ হয়েছেন ১৮ জন। এ নিয়ে চলতি বছর করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৭ জন। দেশে এ যাবত করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৫০৬ জন।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। চলতি বছরে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩১ জন। এ যাবত দেশে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮৭৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৩১২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ যাবত ১ কোটি ৫৭ লাখ ২৭ হাজার ৭৬৭ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এ যাবত শনাক্তের হার মোট ১৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ। মৃত একজন পুরুষ ও একজন নারী। তাদের বয়স ৪১-৫০ এবং ৭১-৮০ বছরের মধ্যে। মৃত দুজনের একজন ঢাকা এবং একজন চট্টগ্রাম বিভাগের বাসিন্দা। এদের একজন সরকারি হাসপাতালে ও একজন বাসায় মৃত্যুবরণ করেছেন।
এর আগে ২০২৪ সালের ২৬ জুলাই করোনা আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর থেকে করোনা আক্রান্ত হলেও দীর্ঘ সময়ে আর কেউ মৃত্যুবরণ করেননি।
২০২০ সালের ৮ মার্চ মাসে দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু’দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।
সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা
** সাতবার প্রয়োজনমতো সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শ (অন্তত ২৩ সেকেন্ড)
** নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে হবে
** আক্রান্ত ব্যক্তি হতে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরে থাকতে হবে
**অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করবেন না
**হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু, কাপড় দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখা
দেশে প্রবেশের পথের জন্য নির্দেশনা
**দেশের বিভিন্ন স্থল, নৌ, বিমান বন্দরসমূহে আইএইচআর (IHR-2005) স্বাস্থ্য ডেস্কসমূহে সতর্ক থাকা, হেলথ স্ক্রিনিং এবং সার্ভেল্যান্স জোরদার করুন।
**দেশের পয়েন্টস অব এন্ট্রি সমূহে থার্মাল স্কান্যার, ডিজিটাল হেন্ড হেল্ড থার্মোমিটারের মাধ্যমে নন টাচ টেকনিকে তাপমাত্রা নির্ণয় করুন।
**চিকিৎসা কাজে স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ মাস্ক, গ্লাভস এবং রোগ প্রতিরোধী পোশাক মজুত রাখুন (পিপিই)।
ভিটামিন ও সাপ্লিমেন্ট কিনুন
**ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য রোগ প্রতিরোধ নির্দেশনা সমূহ প্রচার করুন।
**জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত ভারত ও অন্যান্য আক্রান্ত দেশসমূহে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকুন।
সন্দেহজনক রোগীদের ক্ষেত্রে করণীয়
**অসুস্থ হলে ঘরে থাকুন, মারাত্মক অসুস্থ হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।
**রোগীর নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন।
**প্রয়োজন হলে আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করুন (০১৪০১-১৯৬২৯৩)।