■ নাগরিক প্রতিবেদন ■
সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি বিবেচনায় সতর্ক করে ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশন বিদেশি নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণবিষয়ক পরামর্শ জানিয়েছে।
সতর্কতায় বলা হয়, জনাকীর্ণ এলাকা, ধর্মীয় স্থাপনা ও রাজনৈতিক সভা-সমাবেশসহ বিভিন্ন জায়গায় এই হামলা হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, কিছু গোষ্ঠী এমন ব্যক্তিদের টার্গেট করেছে, যাদের ইসলাম পরিপন্থী জীবনাচরণ ও মতামত রয়েছে বলে তারা মনে করে। বাংলাদেশে মাঝেমধ্যে সংখ্যালঘু ধর্মীয় গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হামলা হয়েছে এবং পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে টার্গেট করা হয়েছে। প্রধান শহরগুলোতে এসব হামলায় বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে। বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ পরিকল্পিত এসব হামলা নস্যাতে কাজ করে যাচ্ছে। স্বল্প সময়ের নোটিশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি বৃদ্ধি এবং চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হতে পারে।
ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্কতায় বলা হয়েছে, চারপাশ সম্পর্কে আপনাকে সচেতন থাকতে হবে। বিশেষ করে পুলিশের স্থাপনাগুলোর আশপাশে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বড় ধরনের সমাবেশ এবং পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি সংবলিত অন্যান্য জায়গা এড়িয়ে চলুন।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশন বলেছে, ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্টে বাংলাদেশ জুড়ে ব্যাপক সহিংসতা হয়, যাতে অনেক মৃত্যু ও বহু আহত হয়েছে। পরিস্থিতি এখনো অস্থির রয়েছে উল্লেখ করে হাইকমিশন বলেছে, রাজনৈতিক মিছিল ও সমাবেশ এখনো অব্যাহত রয়েছে। এগুলো দ্রুত সহিংস হয়ে উঠতে পারে, যা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে। দেশজুড়ে শহর ও নগরে বিক্ষোভ ও ধর্মঘটের সময় সহিংসতা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটতে পারে। এসব ঘটনা প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারে। ঢাকা ও অন্যান্য শহরে অপরাধী চক্রের তৎপরতা রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে হাইকমিশন।
এ ছাড়া, হাইকমিশন আরও বলেছে, মাঝে মাঝে সংখ্যালঘু ধর্মীয় গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হামলা চালানো হয়েছে এবং পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীও হামলার লক্ষ্য হয়েছে। এসব হামলায় বিশেষ করে প্রধান শহরগুলোতে বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ এই ধরনের পরিকল্পিত হামলা প্রতিরোধে কাজ করছে।
হাইকমিশন আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অস্থিরতা পুলিশের কার্যক্রমে প্রভাব ফেলেছে। কিছু থানায় উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তবে বেশিরভাগ থানার কার্যক্রম পুনরায় সচল করা সম্ভব হয়েছে। তবে সব পুলিশ সদস্য এখনো কাজে ফিরেননি।
রাজধানী ঢাকা এবং অন্যান্য শহরে অপরাধী চক্রের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ডাকাতি, সহিংস অপরাধ এবং ধর্ষণের ঝুঁকির ব্যাপারে সতর্কতা দেওয়া হয়েছে এবং এসব অপরাধের সম্ভাবনা নিয়ে বিদেশি নাগরিকদের সচেতন থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।