■ নাগরিক প্রতিবেদক ■
বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের মধ্যে কয়েক দফা আলোচনার পর হোয়াইট হাউস বাংলাদেশ সময় শুক্রবার এ শুল্কহার ঘোষণা করে।
এর আগে, বাংলাদেশকে চিঠি দিয়ে ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্কের কথা জানিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন। সেই হিসাবে শুল্ক ১৫ শতাংশ কমিয়ে নতুন হার ঘোষণা করা হয়েছে।
ঘোষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে বর্তমানের গড় ১৫ শতাংশের অতিরিক্ত ২০ শতাংশ, অর্থাৎ মোট ৩৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করতে হবে।
এ হার যুক্তরাষ্ট্রের সময় অনুযায়ী হোয়াইট হাউসের ঘোষণার সাত দিন পর ৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।
পাল্টা শুল্ক নিয়ে আলোচনার জন্য বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র সফরে রয়েছে। শুল্ক কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) সঙ্গে টানা তিন দিন আলোচনা করেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। গত মঙ্গল ও বুধবারের পর গতকাল বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের মতো আলোচনা করা হয়।
বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। এ ছাড়াও দলে ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাজনীন কাউসার চৌধুরী।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন তাঁর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘বাংলাদেশের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় আমরা প্রতিযোগিতামূলক অবস্থায় থাকব। যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে আমরা ২০ শতাংশের নিচে প্রত্যাশা করেছিলাম।’
হোয়াইট হাউসের ঘোষণা অনুযায়ী, হোয়াইট হাউসের ঘোষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশ ছাড়াও পাকিস্তানের ওপর ১৯ শতাংশ, আফগানিস্তানের ওপর ১৫ শতাংশ, ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ, ব্রাজিলের ওপর ১০ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ওপর ১৯ শতাংশ, মালয়েশিয়ার ওপর ১৯ শতাংশ, মিয়ানমারের ওপর ৪০ শতাংশ, ফিলিপাইনের ওপর ১৯ শতাংশ, শ্রীলঙ্কার ওপর ২০ শতাংশ এবং ভিয়েতনামের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
গত ২ এপ্রিল বাণিজ্য ঘাটতির কথা উল্লেখ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর উচ্চহারে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তখন বাংলাদেশের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। পরে ৯ এপ্রিল বিভিন্ন দেশের ওপর ওই শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। এ সময় শুল্ক নিয়ে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিভিন্ন দেশকে আলোচনার সুযোগ দেয় ওয়াশিংটন।
গত ২ এপ্রিল বাণিজ্য ঘাটতির কথা উল্লেখ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর উচ্চ হারে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তখন বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। পরে ৯ এপ্রিল বিভিন্ন দেশের ওপর ওই শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। এ সময় শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিভিন্ন দেশকে আলোচনার সুযোগ দেয় ওয়াশিংটন।
যুক্তরাষ্ট্রের তিন মাসের সময়সীমা গত ৯ জুলাই শেষ হয়। এর আগের দিন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়ে ট্রাম্প জানান, বাংলাদেশের পাল্টা শুল্ক ২ শতাংশ কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করা হয়েছে। যদিও ৯ জুলাইয়ের পর পাল্টা শুল্ক কার্যকর করেনি মার্কিন প্রশাসন। শুল্কের হার কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তির জন্য ৩১ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন দেশকে সময় দেওয়া হয়।
সেই সময়সীমা শেষে আজ শুক্রবার (১ আগস্ট) থেকে নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা। সে হিসাবে আজ থেকে বাংলাদেশকে বর্তমানের গড় ১৫ শতাংশ ও নতুন পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশ, অর্থাৎ মোট ৩৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করতে হবে। তবে বিবিসির খবরে জানা গেছে কানাডা বাদে ৭ আগস্ট থেকে সব দেশে নতুন এই শুল্ক কার্যকর হবে।
পাল্টা শুল্কের হার ২০ শতাংশে আনা ‘সন্তোষজনক অবস্থা’: আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের আরোপ করা পাল্টা শুল্কের হার ৩৫ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে আনা রপ্তানি খাতের জন্য একটি ‘সন্তোষজনক অবস্থা’ হিসেবে দেখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের কাছে এক প্রতিক্রিয়ায় এই অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি বলেন, এটা জয়-পরাজয়ের কোনো বিষয় না। যে শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতিযোগিতায় আমরা তুলনামূলকভাবে একটা সন্তোষজনক অবস্থানে আছি। আমরা ২০%, পাকিস্তান ১৯%, ভিয়েতনামে ২০%, ভারতে ২৫%। সেই ক্ষেত্রে আমি মনে করি, সার্বিকভাবে ট্যারিফের ফিগারটা সন্তোষজনক প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে। ট্যারিফ বিষয়ে আমাদের প্রতিযোগিতাদের সঙ্গে সেটা হয়েছে ঠিকই আছে। এটা সন্তোষজনক।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের নতুন এই হারের পেছনে কী আছে সেই প্রসঙ্গটি টেনে সাবেক এ বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, পুরো নেগোসিয়েশনের সার্বিক বিষয়টা তো আমাদের জানা নেই। আমরা শুধু ট্যারিফের বিষয়টা জানি। সার্বিক বিষয়টা জানার পরে এই বিষয়ে মন্তব্য করতে পারবো। এর (ট্যারিফ) বিপরীতে আর কী দিতে হয়েছে সেটা না জানা পর্যন্ত এর ইমপেক্টটা কী হবে সেটা আমরা বলতে পারছি না।
এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, নেগোসিয়েশনের পেছনের যে বিষয়গুলো… এটা তো একটা প্যাকেজ। এখানে অনেকগুলো সিদ্ধান্ত হয়েছে। শুধু মাত্র ট্যারিফের কত পার্সেন্ট কমানো হলো সেটা সিদ্ধান্ত হয়নি। এই সিদ্ধান্তের পেছনে অনেক আলাপ-আলোচনা, বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের কী দাবি-দাওয়া ছিল এই বিষয়গুলো প্রকাশ হলে আমরা বুঝতে পারব।
বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্ক নির্ধারণে একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলেন, এখন কী তারা স্বস্তির মধ্যে এসেছেন বলে মনে করেন কিনা জানতে চাইলে সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, আমি তো বলছি, আপাতত ২০% ট্যারিফ নির্ধারণ অন্তত এই মুহূর্তে আমাদের রপ্তানি বাজার বাধাগ্রস্ত করবে না। সুতরাং এই মুহূর্তে এটা সন্তোষজনক সিদ্ধান্ত। তবে এটার সঙ্গে জড়িত অনেক যে বিষয়গুলো আছে সেটা তো আমাদের জানা নেই। সেগুলো আমরা যখন জানব তখন মন্তব্য করতে পারব।
সম্প্রতি বাণিজ্য সচিব যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৫টি বোয়িং বিমান কেনার একটা কথা বলেছেন এটার সঙ্গে ট্যারিফের কোনো সম্পর্কের কিনা প্রশ্ন করা হলে আমীর খসরু বলেন, না, কিছু তো করতেই হবে। কারণ আমেরিকানদের পুরো ট্যারিফের বিষয়টা হচ্ছে, আমেরিকানদের পণ্য রপ্তান্তির স্বার্থে। সেজন্য তো এই অতিরিক্ত ট্যারিফ আরোপ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু সেটা করতে গিয়ে বাংলাদেশ কতটুকু এবজরভ করতে পারবে, আমাদের অর্থনীতি কতটুকু এবজরভ করতে পারবে, ব্যবসায়ীরা কতটুকু এভজরভ করতে পারবে, ইকোনমি কতটুকু এবজরভ করতে পারবে সেই বিষয়গুলো আলোচনার বিষয়। আমরা বিস্তারিত জানলে সেটার ওপর মন্তব্য করতে পারব। আমি মনে করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পুরো বিষয়টা খোলাসা করা উচিত।
আমির খসরু বলেন, বাণিজ্য শুধু আমেরিকার সঙ্গে নয়…অন্যান্য দেশে সঙ্গেও আমাদের পণ্য রপ্তানি হয়। সেই জায়গাগুলো বিবেচনায় নিয়ে সম্মিলিতভাবে আমরা কোথায় দাঁড়াচ্ছি সেটা বুঝতে হবে, পর্যালোচনা করতে হবে। একই সঙ্গে রপ্তানিটা আমাদের আরও বেশি ডাইভারসিফাই করতে হবে। বিদেশে ডাইভারসিফাই করতে, দেশেও ডাইভারসিফাই… শুধু আমেরিকা নির্ভরশীল অর্থনীতি হতে পারে না। সেটাই হচ্ছে আমাদের আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ।
মার্কিন শুল্ক হ্রাস বাংলাদেশের জন্য সুযোগ এবং সতর্কবার্তা: সেলিম রায়হান
যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশের জন্য পারস্পরিক শুল্কহার ৩৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা দেশের রপ্তানি খাতের জন্য একটি স্বস্তির সংবাদ বলে মনে করছেন অর্থনীতিবীদ ও সানেমের (সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের নতুন শুল্কহার এখন প্রতিযোগীদের সঙ্গে তুলনামূলকভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা বাণিজ্য সরে যাওয়ার ঝুঁকি কমাবে এবং বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানিতে বড় ধরনের বিঘ্নের আশঙ্কা কমাবে।
উদাহরণস্বরূপ তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কার শুল্কহার ৩০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ-এ কমানো হয়েছে এবং পাকিস্তানের হার ২৯ শতাংশ থেকে ১৯ শতাংশ-এ নামানো হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর মধ্যে ভিয়েতনাম ও ভারতের ওপর যথাক্রমে ২০ শতাংশ ও ২৫ শতাংশ শুল্কহার প্রযোজ্য।
সেলিম রায়হান বলেন, তবে বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিস্থিতিতে একটি বড় অনিশ্চয়তা এখনো রয়ে গেছে: চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক শুল্কহার এখনো চূড়ান্ত হয়নি। বিশ্ব উৎপাদনে চীনের কেন্দ্রীয় ভূমিকা এবং বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের প্রতিযোগিতামূলক সম্পর্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত বিশ্ব বাণিজ্যের ভবিষ্যত প্রবাহ গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। যদি চীনের ওপর উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি শুল্ক আরোপ করা হয়, তাহলে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রপ্তানিকারকেরা চাহিদার ধারা নিজেদের পক্ষে ঘুরিয়ে নিতে পারে। বিপরীতে, চীনের জন্য অনুকূল শুল্কহার প্রতিযোগিতা আরও তীব্র করতে পারে। সুতরাং, চীনের জন্য চূড়ান্ত শুল্ক শর্তই ঠিক করে দেবে আগামী মাসগুলোতে বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রবাহ কীভাবে পুনর্বিন্যস্ত হবে।
এই অর্থনীতিবিদ বলেন, যদিও শুল্কহার সমন্বয় স্বল্পমেয়াদে স্বস্তি দিচ্ছে, এটি আবার একটি প্রশ্নও উত্থাপন করছে—বাংলাদেশ এর বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রকে কী কী প্রতিশ্রুতি দিয়েছে? এর মধ্যে কিছু যেমন মার্কিন গম, তুলা ও বিমান আমদানি করার কথা প্রকাশিত হয়েছে। তবে যুক্তিসঙ্গতভাবে বলা যায়, কিছু সংবেদনশীল প্রতিশ্রুতি গোপনীয় চুক্তি বা নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্টের (এনডিএ) আওতায় দেওয়া হতে পারে, যা শিগগিরই প্রকাশিত হবে না। এ থেকে স্পষ্ট হয়, বাংলাদেশের বাণিজ্য কূটনীতিতে আরও গভীর নজরদারি, স্বচ্ছতা ও দীর্ঘমেয়াদি কৌশল প্রয়োজন।
তিনি বলেন, এই ঘটনাটি বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা। এটি দেখিয়ে দিচ্ছে, দেশের বৈদেশিক বাণিজ্য কাঠামোকে আরও টেকসই করতে হবে। এ অভিজ্ঞতা থেকে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অগ্রাধিকার স্পষ্ট হয়। প্রথমত, রপ্তানি পণ্য ও বাজার বৈচিত্র্যকরণে গতি আনতে হবে এবং প্রচলিত অংশীদারদের বাইরে নতুন বাজারে প্রবেশ করতে হবে। পণ্য ও গন্তব্যে অতিনির্ভরশীলতা, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর, অর্থনীতিকে অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকির মুখে ফেলে দেয়। দ্বিতীয়ত, বাণিজ্য, করনীতি ও বিনিয়োগ নীতিতে কার্যকর গঠনমূলক সংস্কার করতে হবে, যাতে প্রতিযোগিতা ক্ষমতা বাড়ে ও দীর্ঘমেয়াদি বিদেশি বিনিয়োগ আসে। নিয়ন্ত্রক ও ব্যবসা পরিবেশের উন্নতি বাংলাদেশকে একটি স্থিতিশীল ও আকর্ষণীয় বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে। তৃতীয়ত, উদীয়মান এশিয়া, লাতিন আমেরিকা ও আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে লক্ষ্যভিত্তিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করা উচিত। এগুলো ভবিষ্যতের সুরক্ষাবাদী চাপের বিপরীতে একটি সুরক্ষা বলয় তৈরি করবে এবং রপ্তানি প্রবৃদ্ধির বিকল্প চ্যানেল খুলে দেবে।
সুতরাং, শুল্কহারের এই নিম্নগামী সমন্বয় আনন্দের হলেও, আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই বলেই মনে করেন সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান। তিনি বলেন, বরং এটি বাংলাদেশের জন্য একটি সুযোগ এবং স্পষ্ট সতর্কবার্তা—একটি আরও বৈচিত্র্যময়, প্রতিযোগিতামূলক ও টেকসই বাণিজ্য কৌশল গড়ে তোলার জন্য এখনই সক্রিয় পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।