■ নাগরিক নিউজ ডেস্ক ■
২০২৪ সালে ছাত্রদের নেতৃত্বে বাংলাদেশে সংঘটিত হয় নজিরবিহীন এক গণঅভ্যুত্থান; পতন ঘটে দেড় দশকের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী লীগ সরকারের। এই অভ্যুত্থানকে বলা হচ্ছে ‘মনসুন রেভল্যুশন’ বা ‘বর্ষা বিপ্লব’। বিশ্বে এই ধরনের ঘটনার তেমন উদাহরণ নেই। মনসুন রেভল্যুশন শব্দগুচ্ছের উপযুক্ত ও গ্রহণযোগ্য কোনো বাংলা রূপ নেই। নাটকীয় ও ব্যাপক আর্থসামাজিক পরিবর্তন বোঝাতেই এর ব্যবহার হচ্ছে। বাংলাদেশে তেমনটি ঘটেছে কি না বলা কঠিন। তবে ক্ষমতার পালাবদলের ৯ মাস পরেও দেশ যেন অজানা এক মোড়ে থমকে আছে; নেই শক্তিশালী নেতৃত্ব, প্রশাসনে বিশৃঙ্খলা, ভেঙে পড়েছে দীর্ঘদিনের ‘ক্ষমতার ভারসাম্য’। কোন পথে হাঁটছে ‘নতুন বাংলাদেশ’ কোন পথে হাঁটছে? কীভাবে কাটবে নেতৃত্বশূন্যতা ও আইনশৃঙ্খলার ভাঙন? অর্থনীতি কীভাবে স্থিতিশীল হবে?
উত্তাল এই সময়েই অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থনৈতিক কৌশল নির্ধারণের জন্য টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে কাজ করছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ ড. আহমেদ মুশফিক মোবারক। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ম্যানেজমেন্টের অনলাইন জার্নাল ইয়েল ইনসাইটস-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে অভ্যুত্থান-পরবর্তী অনিশ্চয়তা, প্রশাসনিক দুর্বলতা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং কাঙ্ক্ষিত সংস্কারের পথে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেছেন বাংলাদেশি এই গবেষক। সাক্ষাৎকারটি পাঠকদের জন্য হুবহু অনুবাদ করে তুলে ধরা হলো—
ইয়েল ইনসাইটস: বর্ষা বিপ্লবের কয়েক মাস পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে কীভাবে দেখছেন?
আহমেদ মুশফিক মোবারক: অনিশ্চয়তা—পরিস্থিতি বোঝাতে এটিই সবচেয়ে জুতসই শব্দ। আগের সরকার ছিল ক্রমবর্ধমান স্বৈরতান্ত্রিক এবং সব ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করেছিল। বিপরীতে, এই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে ছিল ছাত্ররা, যারা রাজনীতিবিদ বা প্রশাসক নয়। অভ্যুত্থানটি ছিল অত্যন্ত বিকেন্দ্রীকৃত—প্রথাগত বিরোধী দলগুলো এই সরকার পতনের ক্ষেত্রে মূল ভূমিকায় ছিল না। সাধারণত কোনো অভ্যুত্থান বা বিপ্লবের পেছনে সুস্পষ্ট নেতৃত্ব বা শাসকদের বিরোধী শক্তি থাকে। কিন্তু এখানে সেটা ঘটেনি। ফলে নেতৃত্বের একধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে, যেটা এখন বিভিন্ন গোষ্ঠী ও দল পূরণ করার চেষ্টা করছে।
সরকার পতনের পর ছাত্রনেতারা বুঝতে পারেন, তাঁদের সাইডলাইনে পড়ে যাওয়ার হুমকি দেখা দিয়েছে। তাই সেনাপ্রধান যখন ছাত্রনেতাদের বাদ দিয়ে প্রথম বৈঠকে কেবল বিরোধী দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানান, তখন ছাত্রনেতারা ফেসবুক লাইভে এসে অত্যন্ত কৌশলীভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম প্রস্তাব করেন। ড. ইউনূস আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত এবং নোবেল বিজয়ী হিসেবে বিশ্বজুড়ে সম্মানিত। তাঁর নাম উচ্চারণ করায় ছাত্রদের প্রতি জনসমর্থন জেগে ওঠে।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে দক্ষ ও সজ্জন ব্যক্তিদের বিভিন্ন পরামর্শক পদে নিয়োগ দেন ইউনূস। যেমন বর্তমান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর তাঁর প্রায় পুরো কর্মজীবন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে (আইএমএফ) কাটিয়েছেন। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির এক প্রখ্যাত অধ্যাপক। এইভাবে পরিচিত ও দক্ষ লোকদের নিয়োগ দেওয়া নিরপেক্ষ ও আস্থাভাজন প্রশাসন তৈরির চেষ্টারই অংশ।
তবে গত ছয় মাসে একটি বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে, তা হলো দেশ পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক নিয়োগ এখনো দেওয়া হয়নি। ফলে প্রশাসনের দৈনন্দিন কাজকর্মে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের কর্মকর্তারা নিজেরাই অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন।
ইয়েল ইনসাইটস: ঢাকায় অপরাধ বাড়ছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে। এটা কি সরকারের অচলাবস্থার ফল?
আহমেদ মুশফিক মোবারক: অভ্যুত্থানের পরপরই সাধারণ মানুষ আইনের শাসনের অভাবে ভুগেছে। অতীতে যেমনটি দেখা গেছে, রাজপথের রাজা ছিল কিছু মানুষ। তারা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে খেত। এসব গুন্ডা আগের সরকার রক্ষা করত। কারণ, তারা সরকারের হয়ে কাজ করত; সরকারও তাদের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকত। সবকিছুই আইনবহির্ভূত হলেও একধরনের ‘ট্রেড-অফ’ বা সমঝোতা ছিল। ব্যবসায়ীরা জানত, কাকে খুশি রাখতে হবে। অর্থাৎ, ‘খেলার নিয়ম’ জানা ছিল তাদের।
সরকার পতনের পর সেই কাঠামো ভেঙে পড়ে। আগের গোষ্ঠী অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ে। এখন নতুন কিছু গোষ্ঠী সেই জায়গা দখলের লড়াইয়ে নেমেছে। গার্মেন্টস খাতের কিছু উদ্যোক্তার সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, চাঁদাবাজি ও অনিশ্চয়তার কারণে ব্যবসা পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়েছে।
আরেকটি বিষয়, আগের সরকার অভ্যুত্থান দমনে পুলিশকে ব্যবহার করেছিল। ফলে জনগণের কাছে পুলিশ এখন আর আস্থার জায়গায় নেই, এবং পুলিশরাও নিজেদের লুকিয়ে রাখছে। কারণ, তারা প্রতিশোধের ভয়ে আছে। কিন্তু পুলিশ না থাকায় অপরাধীরা সুযোগ নিচ্ছে। তাই বিশ্বাসযোগ্য, কার্যকর পুলিশি ব্যবস্থা গড়ে তোলা সরকারের জরুরি কর্তব্য।
এই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে ছিল ছাত্ররা, যারা রাজনীতিবিদ বা প্রশাসক নয়। অভ্যুত্থানটি ছিল অত্যন্ত বিকেন্দ্রীকৃত—প্রথাগত বিরোধী দলগুলো এই সরকার পতনের ক্ষেত্রে মূল ভূমিকায় ছিল না। সাধারণত কোনো অভ্যুত্থান বা বিপ্লবের পেছনে সুস্পষ্ট নেতৃত্ব বা শাসকদের বিরোধী শক্তি থাকে। কিন্তু এখানে সেটা ঘটেনি। ফলে নেতৃত্বের একধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে, যেটা এখন বিভিন্ন গোষ্ঠী ও দল পূরণ করার চেষ্টা করছে।
ইয়েল ইনসাইটস: আপনি যে টাস্কফোর্সে কাজ করছেন, তাদের কাজ কী ধরনের?
আহমেদ মুশফিক মোবারক: টাস্কফোর্সটি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ম্যাক্রোইকোনমিকস বা ব্যষ্টিক অর্থনীতিসহ বিভিন্ন খাতে নীতিনির্ধারণের দায়িত্বে রয়েছে। শুরুতেই দেখলাম, অনেক দক্ষ ব্যক্তি ইতোমধ্যে বিভিন্ন খাতে স্টেকহোল্ডার বা অংশীজনদের সঙ্গে কথা বলে নীতির খসড়া তৈরি করছেন। তখন আমি সিদ্ধান্ত নিই, আমি যদি নির্দিষ্ট, বাস্তবমুখী উদ্যোগ নেই, সেটাই হবে আমার দিক থেকে সবচেয়ে বড় অবদান। বাংলাদেশ থেকে জাপানে নতুন কর্মী পাঠানোর কর্মসূচি গড়তে আমি কাজ শুরু করি প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে।
আমাদের দেশের বৈদেশিক মুদ্রার বড় উৎস হলো প্রবাসী আয়। জাপানের একটি কোম্পানি আগে থেকেই ফিলিপাইন থেকে শ্রমিক নিয়ে গিয়ে তাদের ভাষা ও সংস্কৃতি শিক্ষা দিয়ে বৃদ্ধাশ্রম ও হসপিটালিটি খাতে নিয়োগ দিচ্ছিল। আমি তাদের বোঝাতে সক্ষম হই, বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করলে লাভবান হবে। আমি তাদের সঙ্গে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সংযোগ স্থাপন করি। দীর্ঘ আলোচনার পর তারা বাংলাদেশে একটি প্রতিনিধিদল পাঠায় এবং জাপানের রাষ্ট্রদূতের উপস্থিতিতে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ তারা জাপানে বাংলাদেশি কর্মীদের নিয়োগ শুরু করবে বলে জানিয়েছে।
ইয়েল ইনসাইটস: এই কাজে আপনার ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কোনো সহায়তা করেছে কি?
আহমেদ মুশফিক মোবারক: আমি ‘অ্যাকশন-রিসার্চ’ বা কাজের মধ্য দিয়ে গবেষণার মাধ্যমে শিখেছি যে জটিল সমস্যা একা সমাধান করা যায় না। নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, জোট তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জাপানে কর্মী পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়ার সময় আমি সরকারের কিছু দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছে প্রমাণভিত্তিক প্রস্তাবনা পাঠাই। এই চিঠি সঠিক লোকদের কাছে পৌঁছায়। কারণ, তাদের সঙ্গে আমার আগেই সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কোভিডের সময়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা এ ক্ষেত্রে বড় সহায়ক হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের অভিবাসন নিয়ে আমার বহু বছরের গবেষণাও জাপানি কোম্পানির মনোযোগ আকর্ষণ করে।
ইয়েল ইনসাইটস: আপনি আটলান্টিক কাউন্সিলের প্রতিবেদনে বলেছেন, দুর্ব্যবস্থাপনার মধ্যেও বাংলাদেশ গার্মেন্টস খাতে সাফল্য দেখিয়েছে। এটা কীভাবে সম্ভব?
আহমেদ মুশফিক মোবারক: স্বৈরশাসনের একটা দিক হলো—এই ব্যবস্থায় নীতিনির্ধারণ ও ব্যবসার ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা পাওয়া যায়। এখনকার যে অনিশ্চয়তা, সেটা মূলত ক্ষমতার পালাবদলের ফল। কোনো একটি সরকার চলে গেলে তাদের সঙ্গে জড়িত রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদেরও খাপ খাইয়ে নিতে হয়। এই অনিশ্চয়তা অনেক সময় অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা ডেকে আনে। এখন আমাদের প্রয়োজন—একদিকে সুশাসন নিশ্চিত করা, অন্যদিকে অনিশ্চয়তা কমানো।
“অর্থনৈতিক সংস্কারের আগেও এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন। আমাদের অনিশ্চয়তা কমাতে হবে, এমন একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তুলতে হবে, যাতে নাগরিক ও ব্যবসায়ীরা আস্থা রাখতে পারেন এবং মানুষ যেন নিশ্চিত বোধ করেন যে তাঁদের সম্পত্তির অধিকারকে শ্রদ্ধা করা হচ্ছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন সবচেয়ে বেশি জরুরি। তার আগে কোনো অর্থনৈতিক সংস্কার সম্ভব নয়।”
ইয়েল ইনসাইটস: আপনার মতে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অর্থনৈতিক অগ্রগতি টিকিয়ে রাখতে কী কী সংস্কার জরুরি?
আহমেদ মুশফিক মোবারক: অর্থনৈতিক সংস্কারের আগেও এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন। আমাদের অনিশ্চয়তা কমাতে হবে, এমন একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তুলতে হবে যাতে নাগরিক ও ব্যবসায়ীরা আস্থা রাখতে পারেন এবং মানুষ যেন নিশ্চিত বোধ করেন যে তাঁদের সম্পত্তির অধিকারকে শ্রদ্ধা করা হচ্ছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন সবচেয়ে বেশি জরুরি। তার আগে কোনো অর্থনৈতিক সংস্কার সম্ভব নয়।
অর্থনীতির ক্ষেত্রে বলতে গেলে, প্রথম পদক্ষেপ হবে ব্যষ্টিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা। এর মানে, বিনিয়োগকারীদের বোঝাতে হবে যে বাংলাদেশ সঠিক পথে এগোচ্ছে এবং তাদের দেনা পরিশোধে সক্ষম। যদি বিনিয়োগকারীরা আস্থা না পায়, তাহলে তারা টাকা সরিয়ে নিতে শুরু করবে—এতে একধরনের ‘ব্যাংক রান’ অর্থাৎ ব্যাংক থেকে আমানত তোলার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, মুদ্রার মান পড়ে যেতে পারে। এ রকম পরিস্থিতি দেখা গেছে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, শ্রীলঙ্কায়।
আরেকটি বড় সমস্যা হলো—সাবেক সরকারের আমলে ব্যাংক লুট। রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী লোকেরা ব্যাংকে নিজেদের লোক বসিয়ে শত শত কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন করিয়েছে, যেগুলো পরে ফেরত আসেনি। এভাবে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। এমনকি কিছু টাকা নাকি ব্রিটেনের এক রাজনীতিকের কাছেও গেছে—তিনি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর ভাগনি। ফলে বেসরকারি ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই আর্থিক স্থিতিশীলতা আনতে এসব অর্থ উদ্ধারে উদ্যোগ নিতে হবে। আরেকটি গুরুত্বপূণ দিক হলোম ধর্মের ভূমিকা এখন বড় হয়ে উঠছে।
বাংলাদেশের মুসলিম পরিচয় সব সময় ছিল বাংলা সংস্কৃতির সঙ্গে মিশ্রিত। কিন্তু গত দুই দশকে বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে কিছু পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। এই পরিবর্তন রাজনীতিতে কীভাবে প্রতিফলিত হবে, সেটাই দেখার বিষয়। আমার কামনা, নতুন যে রাজনৈতিক ব্যবস্থা আসবে, তাতে সংখ্যালঘুদের অধিকার এবং নারীর অধিকার সুরক্ষিত থাকবে।