লন্ডন যাত্রায় খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হচ্ছেন যারা

■ নাগরিক প্রতিবেদন ■

চিকিৎসার জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি ‘লন্ডন ক্লিনিক’-এ ভর্তি হবেন। লন্ডন যাত্রায় খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হবেন তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা, দলীয় নেতা, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও স্টাফসহ ১৫ জন।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

খালেদা জিয়ার সফর সঙ্গী হচ্ছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের মধ্যে সফরসঙ্গী হিসেবে আছেন ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, ডা. মো. সাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. নুর উদ্দিন আহমদ ও ডা. মোহাম্মদ আল মামুন।

এ ছাড়া খালেদা জিয়ার সঙ্গে যাবেন তার ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান। দলীয় নেতাদের মধ্যে আছেন তার উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী, দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তারসহ ব্যক্তিগত কয়েকজন কর্মকর্তা কর্মচারী রয়েছেন।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী মো. মাসুদুর রহমান, প্রটোকল অফিসার এসএম পারভেজ এবং গৃহকর্মী ফাতিমা বেগম ও রূপা শিকদারও খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হবেন।

সোমবার গুলশান বিএনপির চেয়ারপারনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ডা. জাহিদ জানান, কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে খালেদা জিয়া কাতার হয়ে লন্ডন যাবেন। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে থাকা চারজন বিশেষ চিকিৎসকও খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হবেন।

খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবি এম আব্দুস সাত্তার জানান, ১০ জানুয়ারি রাত ৮টায় গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে বের হবেন খালেদা জিয়া। রাত ৯টায় বিমানবন্দরে উপস্থিত ও ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করবেন।

সোমবার গুলশান বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ডা. জাহিদ জানান, কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে খালেদা জিয়া কাতার হয়ে লন্ডন যাবেন। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে থাকা চারজন বিশেষ চিকিৎসকও খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হবেন।

ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ওনার (খালেদা জিয়া) লিভারের জটিলতাটা, অর্থাৎ লিভার সিরোসিস; পরবর্তী সময়ে কম্পেনসেন্টারি লিভার ডিজিজ বলে গ্রেড-টু; সেটার জন্য টিপস (চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিশেষ পদ্ধতি টিআইপিস-টিপস) করা হয়েছে। টিপসের কিছু টেকনিক্যাল অ্যাসপেক্ট আছে অ্যাডজাস্টমেন্টের বিষয় আছে। হার্টে স্টেন্টিং করার পর চেক করে আবার সেটার জন্য রি-স্টেন্টিং করে অথবা চেক করে দেখতে হয় যে স্টেন্টিংটা ভালোভাবে কাজ করছে কি না… এই জিনিসগুলো তো আমরা করতে পারি নাই।’

জাহিদ হোসেন বলেন, ওনার আরও যে ব্লক আছে, সেটা অ্যাড্রেস করার দরকার আছে, ওনার ক্রনিক কিডনি ডিজিজ যেটা আছে, সেটা অ্যাড্রেস করতে হবে। ওনার করোনা; পরবর্তী সময়ে কিছু জটিলতা হয়েছে, সেগুলো নিরসন করার ব্যবস্থা নিতে হবে। এটা ওভার অল থরো চেকিংয়ের জন্য; যেটা আমাদের দেশে হয়েছে। আমাদের দেশের ফিজিশিয়ানরা, এভারকেয়ার হসপিটালের স্টাফ; তাঁরা বেস্ট…. এ ব্যাপারে আমাদের ম্যাডামের পক্ষ থেকে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে, পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের ডিস্যাটিসফেকশন নাই, সবাই হ্যাপি, উই আর হ্যাপি অলসো, দল হ্যাপি। কাজেই আরও কিছু উন্নত করার জন্য সেখানে আরও থরো চেকিং হবে।’

যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক জাহিদ বলেন, ‘যদি ওখানে (লন্ডন ক্লিনিক) সুপারিশ করে যে ইয়েস, শি নিডস…জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটি হসপিটাল নিয়ে যেতে হবে… তখন হয়তো যাওয়ার একটা প্রশ্ন আসে।’

পবিত্র ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে যাবেন কি না, এ রকম প্রশ্নের জবাবে চিকিৎসক জাহিদ বলেন, ‘সুস্থ থাকলেই ফেরার সময় বা কোনো এক সময় মানুষ চাইলে কিন্তু ওমরাহ করা যায় না… আল্লাহ চাইতে হয়। কাজে রাব্বুল আলামিন যদি ইনশা আল্লাহ কবুল করেন, ডেফিনেটলি ম্যাডাম সেটা করবেন… এটা কিন্তু প্রিডিসাইড না যে এটা করবেনই।’

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *