■ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ■
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট মনোনীত ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়েছে।
বামজোট মনোনীত প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী বিএম ফাহমিদা আলম এই রিট দায়ের করেন।
রিটের পক্ষে শুনানি করবেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। অন্যদিকে এস এম ফরহাদের পক্ষে শুনানি করবেন অ্যাডভোকেট শিশির মনির।
রোববার বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি এবং বিচারপতি শেখ তাহসান আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট আবেদনের শুনানি গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন। এই শুনানির পর আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফরহাদের প্রার্থিতার বিষয়ে চূড়ান্ত নির্দেশনা আসতে পারে।
আদালতের আজকের কার্যতালিকার ২৮৫ নম্বর ক্রমিকে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য রাখা হয়েছিল। তবে ব্যস্ত কার্যসূচির কারণে আদালত তাৎক্ষণিক শুনানি না করে মঙ্গলবার দিন নির্ধারণ করেন।
রিটকারীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ফরহাদ একটি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমার প্রার্থিতাকে চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়েরকারী বামজোটের নেত্রীকে তার উদ্যোগের জন্য শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। বিভিন্ন দল দীর্ঘ সময় ধরে ছবি এডিট করে, ভিডিও বানিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করার চেয়ে আপনার আইনি উদ্যোগ তুলনামূলকভাবে ভালো একটি পদ্ধতি। বাধা, ষড়যন্ত্র কিংবা অপকৌশল মাড়িয়ে আমাদের নিয়মিত পথচলা; এই যাত্রায় আমরা থামব না, ইনশাআল্লাহ।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে চূড়ান্তভাবে প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৭১ জনে। গত ২৬ আগস্ট প্রকাশিত চূড়ান্ত তালিকায় দেখা গেছে, প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন জমা দেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে ২৮ জন স্বেচ্ছায় প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
অপরদিকে, বাছাই প্রক্রিয়ায় বাদ পড়া ১০ জন প্রার্থী আপিল না করায় তাদের মনোনয়নপত্রও বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী, সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ১৭ জন, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ১৯ জন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে রয়েছেন ১২ জন।
এছাড়া গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ৯ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১৩ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক পদে ১৭ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন এবং ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৫ জন প্রার্থী।
সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে সদস্য পদে। এবার মোট ২১৭ জন প্রার্থী সদস্য পদে লড়বেন। সবমিলিয়ে ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন ৪৭১ জন প্রার্থী।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে।