■ নাগরিক প্রতিবেদক ■
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব কার্যক্রম স্থগিতের জন্য হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম এই রিটটি দায়ের করেন।
বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী ও বিচারপতি রাজিউদ্দিন আহমেদের বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে রিটের ওপর শুনানি হতে পারে বলে ইয়ারুল ইসলাম বলেছেন।
রিট আবেদনে দাবি করা হয়েছে, নির্বাচনে জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার পরিবর্তে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা যাচাইয়ের জন্য রুল জারি করা হোক। পাশাপাশি রিটের শুনানি না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশনার আবেদন করা হয়েছে।
রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টরা বিবাদী করা হয়েছে। আইনজীবী জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে রিটের শুনানি হবে।
এর আগে, ২৯ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা মোটামুটি সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। ইনশাআল্লাহ, জাতিকে সুন্দর, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়ার যে অঙ্গীকার করেছি, তা বাস্তবায়ন করব।’
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। একইদিন জুলাই জাতীয় সনদের ওপর গণভোট করারও সিদ্ধান্ত এসেছে।
নির্বাচনের প্রস্তুতি গুছিয়ে আনছে নির্বাচন কমিশন। চলতি মাসের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণার কথা বলা হয়েছে কমিশনের তরফে।
রিট আবেদনকারী ইয়ারুল ইসলাম বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পরিবর্তে জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং অফিসার এবং উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পরিবর্তে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব জনবল থাকতে হবে। সংবিধান অনুসারে নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাহী বিভাগ নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা দেবে। কিন্তু নির্বাহী বিভাগের কর্মকর্তা দিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও নির্বাচন পরিচালনা করা সংবিধানের সঙ্গে ‘সাংঘর্ষিক’।
“তাই জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং অফিসার এবং উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পরিবর্তে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে রুল চাওয়া হয়েছে।”
বাংলাদেশের কংগ্রেসের এই নেতা বলছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা থেকে এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা থেকে নিয়োগ দিতে। নিজস্ব পদোন্নতি পদ্ধতির মাধ্যমে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের থেকে ইসি সচিব নিয়োগের লক্ষ্যে ‘ইলেকটোরাল সার্ভিস কমিশন’ প্রতিষ্ঠার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তারও রুল চাওয়া হয়েছে।
“রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পরবর্তী সব কার্যক্রম স্থগিত রাখার আবেদন জানানো হয়েছে।”
