:: কক্সবাজার প্রতিনিধি ::
কক্সবাজারের উখিয়ায় আরসার আস্তানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গ্রেনেড, রকেট শেলসহ দুই সন্ত্রাসীকে আটক করেছে র্যাব।
বুধবার (১৫ মে) ভোরে উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের গহীন পাহাড়ে এ অভিযান চালানো হয়। র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আবু সালাম বলেন, মঙ্গলবার রাতে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন গহিন লাল পাহাড় এলাকায় মিয়ানমারের সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার সদস্যরা নতুন আস্তানা গড়ে তোলার খবরে র্যাবের একাধিক টিম অভিযান শুরু করে। বুধবার ভোরে একপর্যায়ে সন্দেহজনক আস্তানাটি ঘিরে ফেললে র্যাব সদস্যদের লক্ষ করে আরসার সদস্যরা অতর্কিত গুলি ছুড়তে থাকে। এতে আত্মরক্ষার্থে র্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোড়েন। গোলাগুলির একপর্যায়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় দুই সন্ত্রাসীকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে আরসার আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে পাওয়া যায় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গ্রেনেড ও রকেট শেল।
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, সকাল পৌনে ৯টা পর্যন্ত র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলসহ আশপাশ এলাকায় অভিযান চালান। দুপুর ১২টায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযানের ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।
বুধবার সকালে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সিনিয়র সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান বলেন, কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন লাল পাহাড় এলাকায় সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার আস্তানায় র্যাব অভিযান চালিয়েছে। এতে আরসার সন্ত্রাসীদের সঙ্গে র্যাবের গুলিবিনিময় চলছে।
তিনি আরও বলেন, উখিয়ার গহিন পাহাড়ে আরসার আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গ্রেনেড ও রকেট শেল উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় আরসার দুজন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫।
এখন পর্যন্ত সেখান থেকে আরসার ২ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গ্রেনেড ও রকেট সেল উদ্ধার করেছে।
এদিকে র্যাব ১৫-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন জানান, বেশ কিছু দিন ধরে ক্যাম্পে রোহিঙ্গা হেড মাঝিসহ কয়েকজনকে গুলি ও গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব ক্যাম্পে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। তারই ধারাবাহিকতায় সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে উখিয়ার ক্যাম্পসংলগ্ন গহিন পাহাড়ে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার আস্তানা অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান শুরু হয়।