এসএসসিতে কমেছে জিপিএ-৫, বেড়েছে পাশের হার

:: নাগরিক প্রতিবেদন ::

চলতি বছরের এসএসসি-সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক শূন্য ৪। রোববার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের তথ্য তুলে দেওয়া হয়। সেখানেই তিনি ফলাফল প্রকাশ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রীর হাতে ২০২৪ সালের এসএসসির ফলাফলের সারসংক্ষেপ ও পরিসংখ্যান তুলে দেন ১১টি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহারসহ শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।

২০২৪ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রী ৯৮ হাজার ৭৭৬ জন। ছাত্র ৮৩ হাজার ৩৫৩ জন। ২০২৩ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন পরীক্ষার্থী। এবার গত বছরের চেয়ে এবার ১ হাজার ৪৪৯ জন কম জিপিএ-৫ পেয়েছে।

১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এ বছর ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন পরীক্ষার্থী ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন দাখিল পরীক্ষার্থী ২ লাখ ৪২ হাজার ৩১৪ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন।

যশোর বোর্ডে সর্বোচ্চ পাসের হার ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর সর্বনিম্ন সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এছাড়া ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৯ দশমিক ২৫ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ ও ময়মনসিংহে ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ।৩ জন।

এবার পরীক্ষায় অংশ নেয়া মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৯ হাজার ৮৬১টি। এর মধ্যে শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দুই হাজার ৯৬৮টি। ৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীই পাস করেনি।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত ১২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়।

জিপিএ-৫ ও পাসের হারে এগিয়ে মেয়েরা

২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় সব শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে উত্তীর্ণ মোট ছাত্রের চেয়ে মোট ছাত্রী (৫৯ হাজার ৪৭ জন) বেশি উত্তীর্ণ হয়েছে। এছাড়া ছাত্রদের চেয়ে ১৫ হাজার ৪২৩টি জিপিএ-৫ বেশি পেয়েছে ছাত্রীরা। 

প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী— ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৯২ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৯ দশমিক ২৬ শতাংশ, সিলেটে ৭৩ দশমিক ০৪ শতাংশ, ময়মনসিংহে ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ ও যশোরে ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং কারিগরিতে পাসের হার ৮১.৩৮ শতাংশ।

নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৬ লাখ ৬ হাজার ৩৯৪ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১৩ লাখ ৪৫ হাজার ৬৭৮ জন। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৬৩ হাজার ৮৪৫ শিক্ষার্থী।

মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষার্থী ছিল দুই লাখ ৮৪ হাজার ৬৬৫ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ২ লাখ ২৬ হাজার ৭৫৪ শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ২০৬ জন।

কারিগরি বোর্ডের মোট পরীক্ষার্থী ছিল এক লাখ ২২ হাজার ৫৩৮ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ৯৯ হাজার ৭২১ শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছে চার হাজার ৭৮ জন।

দাখিলে পাসের হার ৭৯.৬৬, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪২০৬ জন

চলতি বছরর মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৯.৬৬ শতাংশ। এ বছর মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষা দিয়েছেন মোট দুই লাখ ৪২ হাজার ৩১৪ জন।

এ বছর মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৪ হাজার ২০৬ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ছাত্র ৬ হাজার ৭৩৯ জন এবং ছাত্রী ৭ হাজার ৪৬৭ জন।

বিদেশের কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষায় পাশের হার ৮৫.৮৮ শতাংশ

চলতি বছরে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় বিদেশের কেন্দ্রে ৩৪৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে পাশ করেছে ২৯৮ জন। 

রোববার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এসব তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল৷

এর আগে সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল সোয়া ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ২০২৪ সালের এসএসসির ফলের সার সংক্ষেপ ও পরিসংখ্যান তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রীসহ ১১টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা।

এ বছর বিদেশের কেন্দ্রে পাশ করেনি ৪৯ শিক্ষার্থী ৷ শতকরা পাশের হার ৮৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ। শতভাগ উত্তীর্ণ প্রতিষ্ঠান দুটি৷ মোট কেন্দ্র ছিল ৮ বলেও জানান তিনি৷
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত ১২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়।

কারিগরিতে পাশের হার ৮১.৩৮ শতাংশ

এ বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে পাশের হার ৮১.৩৮ শতাংশ। রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফল প্রকাশ করেন। 

প্রকাশিত ফলে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ হাজার ৭৮ জন শিক্ষার্থী। 

পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর এসএমএসের মাধ্যমে সংগ্রহ করা যাবে। এজন্য SSC Board name (প্রথম তিন অক্ষর) Roll Year টাইপ করে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। উদাহরণ: SSC Dha 123456 2024 Send to 16222।


১৩ শিক্ষকের ১৪ শিক্ষার্থী, পাস করেনি একজনও

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ঘগোয়া বালিকা স্কুল থেকে ১৪ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একজনও পাশ করেনি। আজ রোববার প্রকাশিত ফলাফলে এ তথ্য জানা গেছে। তবে ওই স্কুলে পাঠদানে কর্মরত আছেন মোট ১৩ জন শিক্ষক। 

বিষয়টি দুঃখজনক জানিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম নাগরিক নিউজকে বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে লিখব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে।’ 

এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল হালিম মিয়া বলেন, ‘১৪ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। একজনও পাস করেনি। রেগুলার নয়জনের আটজনই অঙ্কে ফেল। বাকি একজন ইসলাম ধর্মে। গণিতের শিক্ষক আমার এ সর্বনাশ করেছে। নিয়মিত উনি স্কুলে আসতেন না। আসলেও ক্লাস ফাঁকি দিয়েছেন।’ 

তিনি বলেন, ‘গত বছর পরীক্ষা দিয়েছিল ১৬ জন। পাস করেছে ১৩ জন। তার আগের বছর ২০২২ সালে ২১ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষার দিয়ে পাস করেছে ১৭ জন। এ রকম ভরাডুবি কখনো হয়নি আমার স্কুলে।’ তবে স্কুলে মামলা থাকায় তিনিও বেশি সময় দিতে পারেননি বলে জানান এ প্রধান শিক্ষক।

এসএসসির ফল যেভাবে জানতে পারবেন

শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারছেন। ওয়েবসাইটে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম, বছর ও শিক্ষা বোর্ড সিলেক্ট করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে ফল জানা যাচ্ছে।

শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট www.educationboardresults.gov.bd-এর Result কর্নার-এ ক্লিক করে ফল জানা যাচ্ছে।

এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে ইংরেজিতে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। (উদাহরণ-SSC Dha ROLL YEAR)। ফিরতি মেসেজে ফল জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। 

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট পেতে বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন (EIIN) এন্ট্রি করতে হবে। তাহলে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে।

খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন ১৩মে থেকে

প্রকাশিত ফলাফলে কারও কাঙ্ক্ষিত ফল না এলে সে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন বা খাতা চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন। এ কার্যক্রম শুরু হবে সোমবার ১৩ মে থেকে, চলবে ১৯ মে পর্যন্ত।

আন্তঃশিক্ষাবোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার নাগরিক নিউজকে বলেন, আগামীকাল সোমবার থেকে পুনর্নিরীক্ষণ আবেদন শুরু হবে।

তিনি জানান, অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসেই পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে পারবেন। বোর্ড তার খাতা যাচাই-বাছাই করে আবেদন নিষ্পত্তি করবে।

যেভাবে আবেদন করতে হবে

শুধুমাত্র টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল ফোন থেকে পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করা যাবে। আবেদন করতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে RSC <Space> বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর <Space> রোল নম্বর <Space> বিষয় কোড লিখে Send করতে হবে 16222 নম্বরে।

ফিরতি এসএমএ-এ আবেদন বাবদ কত টাকা কেটে নেওয়া হবে তা জানিয়ে একটি পিন দেওয়া হবে। এতে সম্মত থাকলে মেসেজ অপশনে গিয়ে RSC <Space> Yes <Space> PIN <Space> Contact Number (যে কোনো অপারেটর) লিখে Send করতে হবে 16222 নম্বরে।

ফল পুনর্নিরীক্ষণে ক্ষেত্রে একই এসএমএস-এর মাধ্যমে একাধিক বিষয়ের জন্য আবেদন করা যাবে। সে ক্ষেত্রে কমা (,) দিয়ে বিষয় কোড আলাদা লিখতে হবে। যেমন ঢাকা বোর্ডের একজন শিক্ষার্থী বাংলা ও ইংরেজি দুটি বিষয়ের জন্য টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে লিখবে RSC <Space> Dha <Space> Roll Number <Space) 101, 102, 107, 108। ফল পুনর্নিরীক্ষণে প্রতিটি পত্রের জন্য ১২৫ টাকা করে কেটে নেওয়া হবে।

পুনর্নিরীক্ষণে খাতার চারটি বিষয় দেখা হয়

শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, পুনর্নিরীক্ষণ করলে একজন শিক্ষার্থীর খাতা পুনরায় মূল্যায়ন করা হয় না। পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন হওয়া উত্তরপত্রের চারটি দিক দেখা হয়। এগুলো হলো, উত্তরপত্রের সব প্রশ্নে সঠিকভাবে নম্বর দেওয়া হয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক রয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে ওঠানো হয়েছে কি না এবং প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট করা হয়েছে কি না। এসব পরীক্ষা করে পুনর্নিরীক্ষার ফল দেওয়া হয়। এই চারটি জায়গায় কোনো ভুল হলে তা সংশোধন করে নতুন করে ফল প্রকাশ করা হয়।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *