ওজন কমায় যেসব খাবার

যারা শরীর সম্পর্কে খুবই সচেতন এবং ওজন বাড়ল না কমল তা নিয়ে বেশ চিন্তায় থাকেন, তাদের জন্যে রইল একটি বিশেষ তথ্য। এমন কিছু খাবার আছে যা আপনার ওজন কমাতে  সাহায্য করে। ভাবছেন তো কোথায় পাবেন এই সব খাবার! আরে  কোনো চিন্তা নেই। আগে নামগুলো তো জানুন। তাহলেই দেখবেন কোথায় পাবেন বুঝতে কোনো অসুবিধে হবে না।

জেনে নিন ওজন কমায় যেসব খাবার।

মুগ ডাল: মুগ ডালে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, সি ও ই আছে। এছাড়াও রয়েছে ক্যালশিয়াম, আয়রন এবং পট্যাশিয়াম। প্রোটিন এবং ফাইবার রিচ খাবার হওয়ার দরুণ এক বাটি মুগ ডাল খেলে পেট অনেকক্ষণ ভর্তি থাকে। তবে পরিমাণ মেপে খাওয়াই ভালো।

আখরোট:খিদে পেলে চার-পাঁচটা আখরোট খেয়ে নিন। পেট তো ভরবেই সেই সঙ্গে আপনার শরীর পাবে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অন্যান্য ড্রাই ফ্রুটের তুলনায় আখরোটে কোলেস্টেরলের পরিমাণও কম। তবে একটা কথা খেয়াল রাখবেন। আখরোটে অনেক বেশি পরিমাণে ক্যালোরি রয়েছে, ফলে আখরোট খেয়ে ওজন কমে বলে সারাদিন ধরেই আখরোট খেলেন, তাহলে হিতে বিপরীতই হবে।

খিদে পেলে চার-পাঁচটা আখরোট খেয়ে নিন। পেট তো ভরবেই সেই সঙ্গে আপনার শরীর পাবে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অন্যান্য ড্রাই ফ্রুটের তুলনায় আখরোটে কোলেস্টেরলের পরিমাণও কম। তবে একটা কথা খেয়াল রাখবেন। আখরোটে অনেক বেশি পরিমাণে ক্যালোরি রয়েছে, ফলে আখরোট খেয়ে ওজন কমে বলে সারাদিন ধরেই আখরোট খেলেন, তাহলে হিতে বিপরীতই হবে।

আমন্ড : আমন্ডও ওজন কমাতে সাহায্য করে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে জলে ২-৩টে আমন্ড ভিজিয়ে রাখবেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ভিজিয়ে রাখা আমন্ড খেয়ে নেবেন। সারাদিনে খিদে পেলেও চিপসের পরিবর্তে চোখ বন্ধ করে আমন্ড বেছে নিতে পারেন। তবে ওই আখরোটের মতোই একসঙ্গে বেশি পরিমাণে খাবেন না। তাতে ফল উল্টো হবে।

আপেল:শুধুমাত্র ডাক্তারের হাত থেকেই আপনাকে দূরে রাখে তা নয়, আপেল ওজন কমাতেও সাহায্য করে। আপেলে পর্যপ্ত পরিমাণে ফাইবার আছে যা হজম করতে অনেক সময় নেয়। তাই পেটও অনেকক্ষণ পর্যন্ত ভর্তি থাকে।

ফুলকপি:এই নামটা পড়ে একটু অবাক হচ্ছেন কি! না হবেন না, কারণ সত্যিই ফুলকপি ওজন কমাতে সাহায্য করে। লো ক্যালোরি খাবার হওয়ার পাশাপাশি এতে ফাইবারও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। তাই পেট অনেকক্ষণ ভর্তি থাকে। তা ছাড়াও এতে ইন্ডোল, গ্লুকোসাইনোলেট এবং থায়োসাইনেট রয়েছে যা শরীর থেকে টক্সিন বের করতেও সাহায্য করে।

রসুন:যেকোনো খাবারে রসুনের ছোঁয়া বদলে দেয় তার পুরো স্বাদ, কিন্তু জানেন কি এই রসুন ওজন কমাতেও একইভাবে সাহায্য করে! রসুনে মজুত অ্যালিসিন উচ্চ কোলেস্টেরল ও ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি ব্লাড শুগারও কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও অ্যাপেটাইট কনট্রোল করতেও রসুন উপযোগী। ফলে ওজন খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে থাকে।

টমেটো: টমেটো খেলে শরীরে কোলেসিসটোকিনিন নামে এক ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয় যা স্টম্যাক এবং ইনটেস্টাইনের মধ্যে যে ভাল্ভ রয়েছে তা টাইট করে দেয়। ফলে পেট ভর্তি লাগে। তাই অনায়াসেই ওভারইটিং এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয়। আর প্রয়োজনের অতিরিক্ত না খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনাও থাকে না।

অলিভ অয়েল:অলিভ অয়েলে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে, যা পেট ভর্তিভাব তৈরি করে। ফলে যখন তখন খিদে পাওয়া প্রবণতাও কমে যায়। এছাড়াও এতে পলিফেনল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা শরীরে মজুত ফ্রি র্যাডিরলস্ দূর করতে সাহায্য করে।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *