:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম সম্পন্ন হয়েছে।
রিপোর্টে একটি ৯৫ শতাংশ ব্লক ধরা পড়ায় সেখানে রিং পরানো হয়েছে।
শনিবার দুপুরে জরুরিভিত্তিতে তার এনজিওগ্রাম শুরু হয়।
দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম সম্পন্ন হয়েছে। তার হার্টে বেশ কয়েকটি ব্লক ধরা পড়ে। তার মধ্যে একটি ব্লক ছিল ৯৫ শতাংশ। সেটিতে রিং পরানো হয়েছে। তার অবস্থা স্থিতিশীল নয়।
অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, একুয়েট করোনারি হার্টঅ্যাটাক হয়েছে খালেদা জিয়ার।
সেটি পর্যবেক্ষণের পর অতিদ্রুত খালেদার হৃদযন্ত্রে এনজিওগ্রাম করার সিদ্ধান্ত নেয় মেডিকেল বোর্ড।
একই সঙ্গে মেডিকেল বোর্ড ম্যাডামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণে পরিবারের সদস্যদের ব্যবস্থা নিতে বলে বোর্ড।
এর আগে হৃদযন্ত্রের সমস্যার কারণে শুক্রবার গভীর রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় খালেদা জিয়াকে।
অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে শুক্রবার রাত ৩টা ২০ মিনিটে খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। এর আগে খালেদা জিয়া বাসা থেকে রাত ২টা ৫৫ মিনিটে বের হন।
এর পর ১৮ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন হয়। অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোমিন-উজ জামান ও অধ্যাপক সামস মনোয়ার রয়েছেন এই বোর্ডে।
সকাল সাড়ে ১০টায় মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও এ বৈঠকে যোগ দেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।
আজ শনিবার বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে বিএনপির প্রতিক্রিয়া জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, গত রাতে হাসপাতালে ভর্তির পর খালেদা জিয়ার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছিল। পরে তাঁর জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা এনজিওগ্রাম করার সিদ্ধান্ত নেন। বেলা একটার দিকে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান মির্জা ফখরুল।
হার্টের সমস্যার চিকিৎসা শেষে আপাতত খালেদা জিয়া রিলিফ পেয়েছেন জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা দেখা করেছেন। এরপরও অনুমতি দেওয়া হয়নি।
মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া আবার অসুস্থ হওয়ার পর প্রমাণিত হলো যে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো না হলে খালেদা জিয়ার জীবন হুমকির মধ্যে পড়বে। খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষার জন্য দেশের বাইরে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে তিনি সরকারের কাছে আহ্বান জানান। অন্যথায় এর দায়দায়িত্ব সরকারের ওপর বর্তাবে বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ উপস্থিত আছেন।