:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
ছয় বছর আগে শবে বরাতের দিন মাংস রান্না করা নিয়ে ঝগড়ার জেরে পুত্রবধূকে গলা টিপে হত্যা করেন ইয়াকুব নবী। এরপর স্ত্রীকে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান তিনি।
ছয় বছর পর গত সোমবার রাতে হাটহাজারী উপজেলার চৌধুরীহাট এলাকা থেকে তাকে ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করে পিবিআই।
গ্রেফতার ইয়াকুব নবী (৬৭) ও তার স্ত্রী খদিজা বেগম (৫৭) চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কাথারিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা।
পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার পরিদর্শক নেজাম উদ্দিন জানান, ২০১৬ সালে শবেবরাতের দিন মাংস রান্না নিয়ে পুত্রবধূ রুবি আক্তারের সঙ্গে শ্বশুর ইয়াকুবের ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে ইয়াকুব গলা টিপে ধরলে রুবি আক্তার মারা যান। এরপর রুবির গলায় ওড়না পেচিয়ে তাকে ঝুলিয়ে রেখে ঘটনা ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় রুবির পরিবার ইয়াকুব-খদিজা দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর গত ৭ বছর ধরে ইয়াকুব-খদিজা দম্পতি হাটহাজারীতে আত্মগোপনে ছিলেন।
পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান বলেন, রুবির পরিবার মামলা করার পর জায়গা-জমি বিক্রি করে তার শ্বশুর ইয়াকুব ও শাশুড়ি খদিজা হাটহাজারী চলে যান। সেখানে চৌধুরীহাট এলাকায় ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন।
তিনি বলেন, পিবিআই মামলার তদন্তভার পাওয়ার পর শ্বশুর-শাশুড়ির অবস্থান শনাক্ত করে হাটহাজারীতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। খদিজা জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডের জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলার তদন্তভার পিবিআই পাওয়ার পর শ্বশুর-শাশুড়ির অবস্থান শনাক্ত করে হাটহাজারীতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। শাশুড়ি খদিজা জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত জবানবন্দি দিয়েছেন।