:: নাগরিক প্রতিবেদক ::
চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মোট ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ডেঙ্গুর মৌসুমের আগেই এত মৃত্যু এর আগে দেখেনি বাংলাদেশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরো তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আরও ২৭০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৭৮ জন, আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯২ জন। এই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১৪০৫ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৯৪৪ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৬১ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ৮২৪৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৬২৫৭ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১৯৯১ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৭৯৩ জন। ঢাকায় ৫২৭৩ এবং ঢাকার বাইরে ১৫২০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
দেশে চলতি বছর জানুয়ারিতে ডেঙ্গু রোগী ছিল সবচেয়ে বেশি। মার্চে রোগী কমলেও এপ্রিলে বেড়েছে। এমনকি এপ্রিলে যখন ডেঙ্গুর মৌসুম নয় বলে ধরা হয়, সে মাসেও দেশে দুই রোগীর মৃত্যুসহ সারা দেশে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল ১৪৩ জনকে।
জানুয়ারিতে দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৬৬ জন। সে মাসে মারা যায় ছয়জন। ফেব্রুয়ারিতে সংখ্যা কমে ১৬৬ জনে দাঁড়ায়। সে মাসে মারা যায় তিনজন। মার্চে ১১১ জন আক্রান্ত হলেও কোনো মৃত্যু হয়নি। আর এপ্রিলে ১৪৩ জন আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ২ জন।
প্রতিবছর বর্ষাকালে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়।
২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময়ে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এরমধ্যে গত বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা গেছেন।