:: সিলেট প্রতিনিধি ::
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে সোমবার দুপুর ১টা ১৭ মিনিট থেকে ২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত দেড় ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল সিলেট বিভাগ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট বিতরণ অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল কাদির।
তিনি বলেন, গ্রিড ফেইল করার কারণে আশুগঞ্জের ১৩২ কেভির দুটি সার্কিটই বন্ধ হয়ে যায়। যার কারণে পুরো সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। পরে বেলা ২ টা ৪০ মিনিটে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। তবে এখনও সিলেটের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বন্ধ রয়েছে। ফলে এখন অন্য স্থান থেকে আমাদের ১৮০ মেগাওয়াটের বদলে ১১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগবে বলেও জানান তিনি।
সিলেটে লোডশেডিং বন্ধ এবং বিদ্যুতের অনিয়ম, অপচয় ও দুর্নীতি বন্ধের দাবিতে রোববার গ্যাস-বিদ্যুৎ গ্রাহক কল্যাণ পরিষদ নগরীর কোর্ট পয়েন্টে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। সংগঠনের সদস্য সচিব মকসুদ হোসেন জানিয়েছেন, প্রতিদিন নগরীতে ৭-৮ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। এতে শুধু বাসাবাড়ির লোকজন নয়, ব্যবসা-বাণিজ্য যারা করছেন, তারাও দুর্ভোগের মধ্যে পড়ছেন। এর আগে সিলেট কল্যাণ সংস্থা বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে নগরীতে বিক্ষোভ করে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুৎ মিলিয়ে সিলেটে ৫৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু সরবরাহ করা হচ্ছে ৩৫০ মেগাওয়াট। এরমধ্যে সিলেট বিভাগে পিডিবি পাচ্ছে ১৩৮ মেগাওয়াট ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পাচ্ছে ২১১ মেগাওয়াট। কোনোদিন এর চেয়ে আরও কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ সিলেট এফ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ফজলুল করিম জানান, আশুগঞ্জ গ্রিড ফেল করে ১৩২ কেভি সার্কিট দু’টোই বন্ধ থাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা হয়। এতে পুরো সিলেট ১ টা ১০ মিনিট থেকে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। বিকাল পৌনে ৩ টার দিকে কিছু স্থানে সরবরাহ চালু করা গেলেও পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কয়েকঘণ্টা সময় লাগবে।