:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
শক্তিশালী ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে আবার ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার রাত ৮টা ৪ মিনিটে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের হাতায় প্রদেশে আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এরপর আরও ৩২টি পরাঘাতে কেঁপে উঠেছে তুরস্কের ওই অঞ্চল।
দেশটির দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থা এএফএডি জানিয়েছে, গত রাতের ভূমিকম্পের পর ৩২টি পরাঘাত অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে একটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৮। শুধু তুরস্ক নয়, পাশের দেশ সিরিয়া, লেবানন ও মিসরেও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।
এএফপির একজন সাংবাদিক আতঙ্কের দৃশ্য বর্ণনা করে বলেন, নতুন করে হওয়া ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত শহরের আকাশে ধুলোর মেঘ উড়তে দেখা গেছে। অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর দেয়াল ভেঙে পড়েছে এবং বহু মানুষ আহত হয়ে সাহায্য প্রার্থনা করেন।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোলেইমান সোইগু জানান, গত রাতের এই ভূমিকম্পে ৩ জন নিহত ও কমপক্ষে ২১৩ জন আহত হয়েছেন। তবে বেসামরিক সূত্রের খবর, আহত মানুষের সংখ্যা ৬৮০। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর সিরিয়ায় আহত ৪৭০ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি হওয়া ৭.৮ ও ৭.৫ মাত্রার মতো তীব্র না হলেও এ ভূমিকম্প আতঙ্ক ছড়িয়েছে সমগ্র তুরস্কে। আগের ভূমিকম্পে যারা নিজেদের ঘরবাড়ি ও পরিবারের সদস্যদের হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছিলেন তারা আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন কম্পন অনুভূত হওয়ার পর।
ভূমিকম্প রেকর্ডের পর দেয়া এক বিবৃতিতে ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমলোজিক্যাল সেন্টার জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পের প্রভাব কতটা পড়বে তা এখনও পর্যবেক্ষণাধীন। দক্ষিণ তুরস্কের আনটাকিয়া অঞ্চলে এ ভূমিকম্পের উৎপত্তি।
এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৪৬ হাজার ছাড়িয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অনেকেই চাপা পড়ে আছেন।
জাতিসংঘের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, শুধু তুরস্কেই ভেঙে পড়েছে দুই লাখ ৬৪ হাজার বাড়ি। সিরিয়াতেও প্রায় ৫০ হাজার বাড়ি ভেঙে পড়েছে বলে অনুমান আন্তর্জাতিক ত্রাণকর্মীদের।