:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ অক্টোবরে দেশে ফিরবেন। লন্ডনে বড় ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করার পর ছোট ভাই ও পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এটি নিশ্চিত করেছেন।
পারিবারিক আলোচনা অনুযায়ী আগামী ১৫ অক্টোবর দেশে ফিরতে পারেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ (পিএমএলএন) প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।
পাকিস্তানের বর্তমান প্রধান বিচারপতি (সিজেপি) উমর আত্তা বন্দিয়াল সেপ্টেম্বরে অবসরে যাবেন বলে জানা গেছে। তিনি অবসরে যাওয়ার পর অর্থাৎ অক্টোবরে যেন নওয়াজ শরিফ পাকিস্তানে ফিরে আসেন এমনটাই চেয়েছেন তার দলের নেতারা। এমনকি শরিফ পরিবার এবং তার আইনজীবীরাও নওয়াজকে সিজেপি বন্দিয়ালের অবসরে যাওয়ার পর দেশে ফেরার পরামর্শ দিয়েছেন।
পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ৯ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন পাকিস্তান মুসলিম লীগের (পিএমএলএন) প্রধান নওয়াজ শরিফ। ২০১৭ সালে তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অল্প কিছুদিনের মধ্যে পানামা পেপারসে নওয়াজ শরিফের নাম আসে। এ ইস্যুতে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয়। তাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
২০১৮ সালে একই আদালত তাকে কোনো ধরনের সরকারি পদ গ্রহণের অযোগ্য ঘোষণা করেন। পরবর্তী সময়ে একই বছর দেশটির দুর্নীতি দমন আদালত তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন। তবে চিকিৎসার জন্য জামিনে তিনি লণ্ডন পাড়ি দিতে সক্ষম হন। এরপর থেকে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন। তাকে ‘আত্মগোপনকারী’ ঘোষণা করেছেন দেশটির শীর্ষ আদালত। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে আরও অনেক মামলা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নওয়াজের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। আইনের চোখে এরপর থেকে তিনি পলাতক, আত্মগোপনকারী। এ পরিস্থিতিতে দেশের মাটিতে পা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আইন অনুযায়ী তিনি গ্রেফতার হওয়ার কথা।
তাকে গ্রেফতার করা না হলে বিষয়টি নিয়ে আরও জল ঘোলা হবে। এটা পিএমএল-এনের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করার পরিবর্তে মলিন করবে। আসন্ন নির্বাচনে এটা বুমেরাং হতে পারে। তাই তার বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর মীমাংসা শেষেই নওয়াজ দেশে ফিরবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন গত কয়েক দিনে ঘোষণা করেছে, পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার পর ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। তাই নওয়াজের দেশে ফেরার পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। সূত্রগুলো বলেছে, মধ্য অক্টোবর পর্যন্ত নওয়াজের দেশে ফেরা বিলম্বিত করা হয়েছে। এটা নির্বাচন কমিশনের ওই ঘোষণার কারণে নয়, করা হয়েছে দলীয় পরামর্শে।