:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
রংপুরের তারাগঞ্জে রোববার ভোরে বাসের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক নবজাতকসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে তারাগঞ্জের ইকরচালী হাজীপাড়া খারুভাজ সেতুর কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় অনন্ত চারজন আহত হয়েছেন।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহত নবজাতকের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটি এলাকার রশিদুল ইসলামের স্ত্রী মোসলেমা বেগম তিন দিন আগে নীলফামারী সদরের ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। আজ ভোরে সেই নবজাতক অসুস্থ হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন পরিবারের লোকজন।
অ্যাম্বুলেন্সটির সঙ্গে সৈয়দপুরগামী ভাই ভাই ক্ল্যাসিক পরিবহনের বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সাতজন আহত হন। তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে নবজাতকসহ তিনজনের মৃত্যু হয়। নিহত অন্য দুজন হলেন নীলফামারী সদর উপজেলার কুমড়ার মোড় এলাকার অ্যাম্বুলেন্সচালক আলামিন হোসেন (৩৫) ও ডোমার উপজেলার কাচুচুড়াডাংগী গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৪০)। আহতরা হলেন নবজাতকের মা মোসলেমা বেগম, বাবা রশিদুল ইসলাম, দেলোয়ারা আক্তার ও মশিয়ার রহমান।
হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মাহাবুব মোরশেদ বলেন, কয়েক দিন আগেও এই মহাসড়কের ওই স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় নয়জনের প্রাণহানি হয়েছে। দুমড়েমুচড়ে যাওয়া অ্যাম্বুলেন্স ও বাস পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ভোরে নীলফামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মাইক্রোবাসযোগে আসার পথে সলেয়াশা বাজারের কাছে অপর দিক থেকে আসা একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মাইক্রোবাসে থাকা একই পরিবারের ৭ জন আহত হলে তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে তারাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব মোর্শেদ জানান, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সলেয়াশা বাজারের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এতে আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে এক শিশুসহ তিনজন মারা গেছেন।