:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
পুলিশের ৩২তম মহাপরিদর্শক হিসেবে প্রথমবারের মতো দেড় বছর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
চলতি বছরের ডিসেম্বরে কিংবা আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনের চুক্তিভিত্তিক এই নিয়োগের মাধ্যমে সরকার নির্বাচনকালীন ও নির্বাচন পরবর্তী দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তার হাতেই দায়িত্ব তুলে দিল।
সোমবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব মোহা. রফিকুল ইসলামের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন ২০১৮-এর ধারা-৪৯ অনুযায়ী পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে তার অবসরোত্তর ছুটি ও সংশ্লিষ্ট সুবিধা স্থগিতের শর্তে এই নিয়োগ দেওয়া হলো। তার নিয়োগের মেয়াদ হবে আগামী ১২ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ১১ জুলাই পর্যন্ত, অথবা যোগদানের তারিখ থেকে দেড় বছর।
গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) থেকে পুলিশপ্রধান হিসেবে নিয়োগ পান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন। বলা হয়, তৎকালীন আইজিপি বেনজীর আহমেদ ৩০ সেপ্টেম্বর অবসরে গেলে সেদিনই তিনি ওই পদে যোগ দেবেন এবং সেদিনই আইজিপির দায়িত্ব নেন আব্দুল্লাহ আল-মামুন।
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের মুজিবনগর সরকারের সময় দেশের প্রথম পুলিশ মহাপরিদর্শক ছিলেন আবদুল খালেক। তিনি ১৯৭৩ সালের ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। আবদুল্লাহ আল-মামুন দেশের ৩১তম আইজপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘ এই সময়ে এর আগে আর কোনো আইজিপিকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। আওয়ামী লীগের দীর্ঘ সময় ধরে সরকারে থাকার সময় একাধিক আইজিপির চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়ে গুঞ্জন ছড়ায়। সংবাদমাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে বেশ খবর প্রকাশ হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেউ নিয়োগ পাননি।
২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল র্যাব মহাপরিচালকের দায়িত্ব নেন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন। ১৯৬৪ সালের ১২ জানুয়ারি সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার শ্রীহাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষে বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের ১৯৮৬ ব্যাচে পুলিশের সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট (এএসপি) হিসেবে যোগ দেন। ২০২১ সালের মে মাসে তিনি অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতি পান। তার আগে তিনি ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি ছিলেন। কর্মজীবনে তিনি পুলিশ সদর দপ্তর, মেট্রোপলিটন পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এবং বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া জাতিসংঘ শান্তি মিশনে কাজ করার মাধ্যমে তিনি বিশ্ব শান্তিরক্ষার জন্য অবদান রেখেছেন।