:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
সারা দেশে পুলিশের ১৫ দিনের বিশেষ অভিযানে ২৩ হাজার ৯৬৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, গত ১৫ ডিসেম্বর পুলিশের এ বিশেষ অভিযান শেষ হয়।
দেশব্যাপী ৩৩ হাজার ৪২৯টি অভিযান চালিয়ে এসব ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে তালিকাভুক্ত জঙ্গি ও সন্ত্রাসী ৭২ জন।
বিজয় দিবস, বড়দিন, খ্রিষ্টীয় বর্ষবরণ উদ্যাপন নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে এবং ঢাকায় আদালতফটক থেকে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ১ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ বিশেষ অভিযান চালায় পুলিশ।
বিএনপির অভিযোগ, তাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করতেই এ বিশেষ অভিযান। এর অংশ হিসেবে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর প্রবেশপথগুলোয় তল্লাশিচৌকি বসানো হয়েছিল, যা সমাবেশের পর তুলে নেওয়া হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে বিভিন্ন মামলায় পরোয়ানাভুক্ত ১৫ হাজার ৯৬৮ জন আসামি। আর অভিযান চলাকালে ৫ হাজার ১৩২টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে ৮ হাজার জনকে। অভিযানকালে ২৪টি আগ্নেয়াস্ত্র, ২ লাখ ইয়াবা, ৮ কেজি ৬ গ্রাম হেরোইন ও ৫ হাজার ৪১৫ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করেছে পুলিশ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ হেডকোয়ার্টারের এক কর্মকর্তা জানান যে, পুলিশ ১ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৩ হাজার ৪২৯টি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে।
ঐ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “গ্রেফতারদের মধ্যে বিভিন্ন ফৌজদারি মামলায় ১৫ হাজার ৯৬৮ জনকে ওয়ান্টেড হিসেবে দেখানো হয়েছে এবং অভিযানকালে দায়ের করা পাঁচ হাজার ১৩২টি মামলায় আট হাজার জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযানে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করেছে পুলিশ।”
ঢাকার আদালত চত্বর থেকে দুই জঙ্গি পালিয়ে যাওয়ার পর পুলিশের অভিযান শুরু হয়। জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই সদস্য গত ২১ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে যায়।
পলাতক ব্যক্তিরা হলেন; আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব এবং মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে সিফাত ওরফে ইমরান।