:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
দেশে ভোক্তাপর্যায়ে বিদ্যুতের খুচরা দাম গড়ে প্রতি ইউনিটে ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে নতুন এ দাম কার্যকর করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সরকারের নির্বাহী আদেশে এ মূল্যবৃদ্ধির কথা জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এর আগে, গত ৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) গণশুনানিতে কমিশনের কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি ভোক্তা পর্যায়ের খুচরা বিদ্যুতের দাম ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করে।
সুপারিশে বিভিন্ন বিদ্যুৎ কোম্পানির প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টার গড় মূল্য ৭ টাকা ১৩ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৮ টাকা ২৩ পয়সা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
গত নভেম্বরে পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়ায় এ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এটি ডিসেম্বর থেকে কার্যকর করা হয়। তাই ডিসেম্বর থেকেই খুচরা দাম বাড়াতে বিইআরসির কাছে আবেদন করে ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা। ২ জানুয়ারি এসব আবেদন নিয়ে শুনানি করে বিইআরসি। এরপর ১৫ জানুয়ারির মধ্যে মতামত জানাতে বলা হয়। তার ভিত্তিতে নতুন দাম ঘোষণা করার কথা বিইআরসির। সরকার ওই পর্যন্ত অপেক্ষা না করে আগেই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আবাসিক গ্রাহকদের মধ্যে শূন্য থেকে ৫০ ইউনিট ব্যবহারকারী লাইফলাইন গ্রাহকদের বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি ৩ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে বেড়ে ৩ টাকা ৯৪ পয়সা, শূন্য থেকে ৭৫ ইউনিট ব্যবহারকারীর বিদ্যুতের দাম ৪ টাকা ১৯ পয়সা থেকে বেড়ে ৪ টাকা ৪০ পয়সা, ৭৬ থেকে ২০০ ইউনিট ব্যবহারকারীদের ৫ টাকা ৭২ পয়সা থেকে বেড়ে ৬ টাকা ১ পয়সা করা হয়েছে।
এছাড়া, আবাসিক পর্যায়ে ২০১ থেকে ৩০০ ইউনিট ব্যবহারকারীদের ৬ টাকা থেকে বেড়ে ৬ টাকা ৩০ পয়সা, ৩০১ থেকে ৪০০ ইউনিটের জন্য ৬ টাকা ৩৪ পয়সা থেকে বেড়ে ৬ টাকা ৬৬ পয়সা, ৪০১ থেকে ৬০০ ইউনিটের জন্য ৯ টাকা ৯৪ পয়সা থেকে বেড়ে ১০ টাকা ৪৫ পয়সা এবং ৬০০ ইউনিটের ওপরে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী আবাসিক গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল ১১ টাকা ৪৯ পয়সা থেকে বেড়ে ১২ টাকা ৩ পয়সা করা হয়েছে।
এর আগে, ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সরকার গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছিল।
দেশের সরকারি-বেসরকারি সব বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে চুক্তি অনুসারে নির্ধারিত দামে বিদ্যুৎ কিনে নেয় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। এরপর তারা উৎপাদন খরচের চেয়ে কিছুটা কম দামে ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার কাছে বিক্রি করে। ঘাটতি মেটাতে পিডিবি সরকারের কাছ থেকে ভর্তুকি নেয়। তবে বিতরণ সংস্থাগুলো কোনো ভর্তুকি পায় না। তারা নিয়মিত মুনাফা করছে। গত অর্থবছরেও মুনাফা করেছে বিতরণ সংস্থাগুলো।