:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
৫০ হাজার বছর পৃথিবীর কাছাকাছি আসছে এক বিরাট ধূমকেতু।এবার খালি চোখেও এটি দেখা যাবে পৃথিবী থেকে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ধূমকেতুটি পৃথিবীর পাশ দিয়ে ধেয়ে যাবে।
এই ধূমকেতুর নাম দেওয়া হয়েছে ‘সি/২০২২ ই৩ (জেডটিএফ) [C/2022 E3 (ZTF)] । সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে ধূমকেতুটি। অন্ধকার রাতের আকাশে খালি চোখে দৃশ্যমান হতে পারে এটি।
২০২২ সালের মার্চ মাসে ওয়াইড ফিল্ড সার্ভে ক্যামেরা ব্যবহার করে প্রথম দেখা গিয়েছিল ধূমকেতুটি। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে ধূমকেতুটি এবার পৃথিবীর কাছে আসছে। এটি আবিষ্কারের পর থেকে যথেষ্ট উজ্জ্বল হয়েছে। তবে টেলিস্কোপ ছাড়া দেখতে এখনো খুব ম্লান।
জ্যোতির্বিজ্ঞানী নিকোলাস বিভার জানিয়েছেন, ধূমকেতুটি ময়লা, এমিট ও সবুজ রঙের আভা দিয়ে তৈরি।
বিভার আরও জানিয়েছেন, এবার পৃথিবীর পাশ দিয়ে যাওয়ার পর হয়তো এ ধূমকেতুটি সৌর জগত থেকে হারিয়ে যাবে।
ধারণা করা হচ্ছে, এ ধূমকেতুটি এসেছে অর্ট মেঘ থেকে। এটি সৌর জগতের রহস্যময় বরফীয় বস্তুর কাছে অবস্থিত। সর্বশেষ ধূমকেতুটি যখন পৃথিবীর কাছে এসেছিল, তখন পৃথিবী ছিল পুরাতন প্রস্তুরযুগে। ওই সময় পৃথিবীতে ছিল প্রাক্সানবের (আদি মানব) বিচরণ।
ধূমকেতুটি ১২ জানুয়ারি সূর্যের সবথেকে কাছে আসবে। এরপর ১ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীর কাছাকাছি আসতে পারে। যদিও ধূমকেতুর উজ্জ্বলতা অস্পষ্ট। নাসা বলছে, যতদিন যাবে তা স্পষ্ট হবে এবং তা খালি চোখে দৃশ্যমান হতে পারে অন্ধকার রাতের আকাশে। শহরের আলো বা চাঁদের আলো থাকলে তা স্পষ্ট হবে না।
ধূমকেতুটির ব্যাস মাত্র এক কিলোমিটার। অর্থাৎ পৃথিবী থেকে দেখতে পাওয়া সর্বশেষ দুইটি ধূমকেতুর চেয়ে আকারে অনেকটাই ছোট এটি।
গত বছরের মার্চে প্রথমবার ধূমকেতুটি বৃহস্পতি গ্রহের পাশ দিয়ে যেতে দেখে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক সংস্থা জুইকি ট্রানজিয়েন্ট ফ্যাসিলিটি। এরপরই এর নাম দেওয়া হয় সি/২০২২ই৩ (জেডটিএফ)।
এর আগে ২০২০ সালের মার্চে নিওওয়াইজ এবং ১৯৯৭ সালে হেল-বপ নামের একটি ধূমকেতু পৃথিবী থেকে খালি চোখে দেখা যায়। হেল-বপের ব্যাস ছিল প্রায় ৬০ কিলোমিটার। কিন্তু সবশেষ ধুমকেতুটি পৃথিবীর খুব কাছাকাছি আসছে, তবে এটি আকারে খুব বেশি বড় হবে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা।