:: বুয়েট প্রতিনিধি ::
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) রাজনৈতিক সংগঠন ও এর কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দিয়েছেন।
এর ফলে দেশে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতির আর কোনো বাধা থাকলো না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
পাশাপাশি বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা দিয়ে জারি করা বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করার পাশাপাশি বুয়েট কর্তৃপক্ষের ওই আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত। রিটের বিবাদী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বুয়েটের ভিসি ও রেজিস্ট্রারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সকালে বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি করার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করা হয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।
এ বিষয়ে শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, বুয়েট কর্তৃপক্ষ তাদের ক্যাম্পাসে রাজনীতি বন্ধ করে যে নোটিশ দিয়েছিল সেটিই স্থগিত চাওয়া হয় রিটে।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলে আবরার ফাহাদ নামে এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। ওই সময় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বি বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি চালুর বিষয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দাখিল করেছিলেন। ওই রিটের সম্পূরক আবেদন করে আজ আদালতে শুনানি হয়।
অনড় অবস্থানের কথা জানালেন শিক্ষার্থীরা
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাস ছাত্র রাজনীতিমুক্ত রাখার দাবিতে অনড় শিক্ষার্থীরা। মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর প্রবেশের প্রতিবাদে গতকাল রোববার তৃতীয় দিনের মতো আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন অব্যাহত রেখেছেন।
তারা জানিয়েছেন, রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস, অপশক্তির কবল থেকে প্রতিষ্ঠানকে মুক্ত করা এবং নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেলে সব ব্যাচের শিক্ষার্থী অবিলম্বে একাডেমিক কার্যক্রমে ফিরে যাবেন। গতকাল সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব কথা জানান।
এদিন সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের বুয়েট শহীদ মিনারে অবস্থান নেওয়ার কথা ছিল। তবে তাদের সেখানে দেখা যায়নি। এ সময় ক্যাম্পাসের সব প্রবেশপথেও প্রবেশ সীমিত ছিল। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাজনিত শঙ্কায় রয়েছেন। এ কারণে এদিন কোনো সমাবেশ করেননি। ক্যাম্পাসের আশপাশের এলাকায় শনিবার রাত থেকে ক্রমাগত মাইকিং করা হয়, শিক্ষার্থীদের ফোন করে হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানারকম গুজব ছড়ানো, বুয়েট শিক্ষার্থীদের মিথ্যা ট্যাগ দেওয়া, শিক্ষার্থীদের ছবি নাম-পরিচয়সহ পোস্ট করে তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা গুরুতরভাবে বিঘ্নিত হয়– এমন অপপ্রচার চালানো হয়েছে। এতে ক্যাম্পাস এবং আশপাশের এলাকা শিক্ষার্থীদের জন্য অনিরাপদ হয়ে পড়েছে। এমনকি ক্যাম্পাসের বাইরেও শিক্ষার্থীরা তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।
তবে তারা বলেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে শিক্ষার্থীদের রোববার ক্যাম্পাসে অবস্থান না নেওয়া মানে এই নয় যে, তারা ছাত্র রাজনীতিবিহীন ক্যাম্পাসের দাবি থেকে সরে এসেছেন। ২০তম ব্যাচের ১ হাজার ২১৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ২১৪ জনই রোববারের পরীক্ষায় অংশ নেননি। শনিবার ২২তম ব্যাচের প্রথম টার্ম ফাইনাল পরীক্ষাতেও কোনো শিক্ষার্থী অংশ নেননি। তারা আরও বলেন, দাবি আদায় হলে শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরে যাবেন। ইতোমধ্যে পরীক্ষাগুলো রি-শিডিউল করার আবেদন জানিয়েছেন।
ছাত্রলীগের রাজনীতির পক্ষে বুয়েট ভিসির সাফাই
সোমবার দুপুরে হাইকোর্টের এই আদেশের পর বুয়েটের ভিসি অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেছেন, আদালত যেটা বলবেন, আমাকে সেটা মানতে হবে। আদালতের আদেশ শিরোধার্য। আমরা আদালত অবমাননা করতে পারব না। দুপুরে বুয়েট ক্যাম্পাসে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন ভিসি।
বুয়েটে সব রাজনৈতিক সংগঠন ও এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে ২০১৯ সালের ১১ই অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দেয়া ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তির’ বৈধতা নিয়ে আজ হাইকোর্টে একটি রিট হয়।
হাইকোর্টের আজকের আদেশের বিষয়ে জানতে চাইলে বুয়েট ভিসি সত্য প্রসাদ মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, আদালত যা বলবেন, আমরা সেটা মানতে বাধ্য। আদালত সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। আদালত আমাদের যে নির্দেশনা দেবেন, আমরা সেই নির্দেশনা মেনে চলব।
আদালতের আদেশের পর বুয়েটের পদক্ষেপ কী হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। আদালতকে তো আমরা ভায়োলেট (আদেশ লঙ্ঘন) করতে পারব না। আমাদের আদালতের নিয়মে চলতে হবে। আইন ও নিয়ম অনুযায়ী আমাদের এগোতে হবে।
ভিসি জানান, আদালতের আদেশ না দেখে তিনি কিছু বলতে পারছেন না। আদেশ দেখার পর বুয়েটের আইন উপদেষ্টার পরামর্শ অনুযায়ী তারা এগিয়ে যাবেন।
বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চালু হলে আবার আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটবে কি না, এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ভিসি বলেন, আমি ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারব না।
এক প্রশ্নের জবাবে বুয়েটের ভিসি বলেন, রাজনীতির পরিবেশ ঠিক রাখার জন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও প্রশাসন সবাই মিলে একটা রূপান্তর করতে হবে। কীভাবে সেটা করা যায়, তা আলোচনার মাধ্যমে বের করতে হবে। বর্তমানে ইউকসুর (ছাত্র সংসদ) কার্যক্রম বন্ধ আছে। সব পক্ষের মতামত নিয়েই একটা কিছু করতে পারবেন তারা। একা কিছু করলে, তা বাস্তবায়ন করা যাবে না। সেটা সিন্ডিকেটে অনুমোদিত হতে হবে, অর্ডিন্যান্সে যুক্ত হতে হবে। রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের অনুমোদন নিতে হবে। তা না হলে এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্সে ঢুকবে না। তাদের সীমাবদ্ধতা আছে। তারা আদালতের আদেশ পালন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় তার নিয়মে চলে। কিন্তু আদালতের আদেশ শিরোধার্য।
অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে
গতকাল সকালে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ-সংশ্লিষ্টরা অপপ্রচার চালাচ্ছে। এতে বলা হয়, ‘আবারও জানিয়ে দিতে চাই, আমাদের অবস্থান কেবল ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে নয়। বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা যে কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের কর্মকাণ্ডের বিরোধী। হিযবুত তাহরির নিষিদ্ধ সংগঠন, তাদের কার্যক্রমের ব্যাপারে প্রশাসন ও পুলিশকে অবগত করা হয়েছে। সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। এ ঘটনা প্রমাণ হলে তাদের বিরুদ্ধেও আন্দোলন হবে।’
২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হলে শিবির সন্দেহে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে হল ছাত্রলীগের বেশ কয়েক নেতা। এ ঘটনায় বুয়েট কর্তৃপক্ষ ২৬ ছাত্রকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে এবং শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর পর থেকে নানা সময় শিক্ষার্থীদের রাজনীতিতে জড়ানোর অভিযোগ এসেছে, সবগুলোতেই শিক্ষার্থীরা রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন।
এমনকি আবরার হত্যায় বহিষ্কার হলেও মামলায় নাম না থাকায় আদালতের রায়ে ক্লাসে ফেরেন অভিযুক্ত আশিকুল ইসলাম বিটু নামে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক ছাত্র। এ ঘটনায় গত বছরের ২৩ আগস্ট শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে ৯ আগস্ট ক্লাস বর্জন করেন। পরে আশিকুল ক্লাসে অংশ নেননি বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
একই দিনে বুয়েট ক্যাফেটেরিয়ার সামনে সম্মিলিত শপথ পাঠ করেন কয়েকশ শিক্ষার্থী। শপথে ‘নৈতিকতার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বৈষম্যমূলক অপসংস্কৃতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারকে সমূলে উৎপাটিত’ করার ঘোষণা দেওয়া হয়। শপথের পর সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র রাজনীতি ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থানের কথা জানান শিক্ষার্থীরা।
ছাত্রলীগের ইমতিয়াজ রাব্বিকে রাজনীতির ঢাল বানানো হল
বুয়েটে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের প্রবেশের ঘটনায় ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বিসহ ছয় শিক্ষার্থী জড়িত থাকার অভিযোগ এনে তাদের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে রাব্বির তিতুমীর হলের আবাসিক সিট গত শুক্রবার বাতিল করা হয়েছে।
এর আগে ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে বুয়েটের ১৭ ব্যাচের হাসিন আজফার পান্থ তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক এবং ২১ ব্যাচের ইমতিয়াজ রাব্বি সদস্য পদ পান। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের শাস্তি দাবি করে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা ভঙ্গ এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করছেন তারা। সেই বছর ২০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞা না মেনে শিক্ষার্থীরা রাজনীতিতে জড়ালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব রাজনৈতিক সংগঠন এবং এর কার্যক্রম ইতোমধ্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অন্য কোনো মাধ্যমে কোনো শিক্ষার্থীর সাংগঠনিক বা রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার না করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই সময় পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদকের কাছে চিঠি দিয়েছিলেন রাব্বি। তবে এখনও তিনি ছাত্রলীগের পদে বহাল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের কার্যনির্বাহী পদের পরিচয়ও রেখেছেন।
শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করেছে ছাত্রলীগ: এবি পার্টি
খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজির মাধ্যমে সরকারি ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ শিক্ষাঙ্গনকে প্রতিনিয়ত নিজেদের ক্ষমতার লীলাভূমি বানিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি, তারা আবরারের মতো বহু মেধাবী ছাত্রকে হত্যা করে শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন এবি পার্টির নেতারা ।
সোমবার পবিত্র রমজানের ২১তম দিনে গণইফতার কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিজয় নগরস্থ বিজয়-৭১ চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এ অভিযোগ করেন বক্তারা। তারা আরও বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জনে যে ছাত্রলীগ নেতৃত্বের ভূমিকায় ছিল সেই ছাত্রলীগের রাজনীতিকে এখন জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঘৃণা করা শুরু করেছে। যে সন্ত্রাসনির্ভর রাজনীতির কারণে আবরার ফাহাদের মতো মেধাবীদের নৃশংসভাবে খুন হতে হয় সেই পেশি শক্তির রাজনীতি জনগণ চায় না বলেও তারা মন্তব্য করেন। বক্তারা বলেন, ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী পোস্ট দেয়ার কারণে বাংলাদেশের সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের ক্যম্পাস বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী নেতারা রাতভর পিটিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করে। যার ফলে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ রাখে প্রশাসন। আজ হাইকোর্টে আবেদন করে আবার ছাত্র রাজনীতি করার আদেশ নিয়েছে ছাত্রলীগ। বিচার বিভাগ নিয়ে জনগণ কথা বলতে পারে না, কিন্তু রাজনৈতিক বিষয় যারা বিচারালয়ে নিয়ে এসে পুরো পরিবেশকে কলুষিত করছে তাদের বিরুদ্ধে জনগণকে রাজনৈতিক ভাবেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ছাত্র রাজনীতির নামে আবরারের মতো আর কোন মেধাবীর নৃশংস হত্যাকাণ্ড জনগণ বরদাশত করবে না বলে হুঁশিয়ারি জানান এবি পার্টির নেতারা।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক প্রফেসর ডাঃ মেজর (অবঃ) আব্দুল ওহাব মিনার। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুল হালিম খোকনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টি’র (কাজী জাফর) মহাসচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য আহসান হাবীব লিংকন।
গণ ইফতারে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি যুবপার্টির আহবায়ক এবিএম খালিদ হাসান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার ফারুক, উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান, দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব সফিউল বাসার, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মশিউর রহমান মিলু, রিপন মাহমুদ, শরণ চৌধুরী, রুনা হোসাইন, আমেনা বেগম, ছাত্রপক্ষের আহবায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, চাত্রনেতা হাসিবুর রহমান খান, পল্টন থানার আহবায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি, সদস্য সচিব রনি মোল্লা, যাত্রাবাড়ী থানা সমন্বয়ক সএমএইচ আরিফ সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।