:: সাইদুর রহমান ::
প্রায়শই একটি কথা শুনি, আচ্ছা “প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শেখ হাসিনার বিকল্প কে? শেখ হাসিনার বিকল্প একজনই শেখ হাসিনা।” সবিনয়ের সাথে দ্বিমত পোষন করছি। একজন ব্যক্তির বিকল্প কেউ নেই তা হতে পারে না। হ্যাঁ আমাদের প্রধানমন্ত্রী অনেক প্রজ্ঞা-জ্ঞানী-পরিশ্রমি। দেশ পরিচালনায় পারদর্শী। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে প্রায় ৫১ বছর। উনি ক্ষমতায় আছে প্রায় ১৯ বছর। বাকী ৩২ বছর কি বাংলাদেশ চলেনি? অন্যরা যাহারা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তারাও সফলভাবে দেশ পরিচালনা করেছেন। কিন্তু একটি জিনিস বুঝতে হবে যে, প্রধানমন্ত্রীর পদ চিরস্থায়ী নয়। যতক্ষন না চিরস্থায়ী তখনই ওই পদের অসংখ্য বিকল্প রয়েছে। স্বয়ং আওয়ামী লীগেই অসংখ্য বিকল্প আছে।
এই যেমন ধরুন, বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহেনা, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা ও একমাত্র পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয় কিংবা একমাত্র কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল হতে পারেন। আবার শেখ রেহেনার পুত্র ববি বা আওয়ামী লীগের অন্য কেউই হতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। যদি অন্য দলের ধরি তাহলে দন্ডমওকুফ সাপেক্ষে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কিংবা উনার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান অথবা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। এছাড়াও নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরও প্রধানমন্ত্রী হতে আইনী কোন বাঁধা নেই।
যিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হন তিনি নিজের পকেটের টাকায় দেশ চালান না। জনগনের করের টাকায় বাংলাদেশ পরিচালিত হয়। ব্যক্তির জন্য পৃথিবীতে কোন পদ স্থায়ী আছে বলে মনে করি না। যারা মনে করেন ‘ তাঁর বিকল্প কেউই নাই’ আসলেই উনারাই অগণতান্ত্রিক ভাষায় আমাদের শাসন করতে চাচ্ছেন? যেই ক্ষমতায় আসুক না কেন সবার আগে উচিত দেশে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। জনগন ভোট দিতে পারলে সকল অগণতান্ত্রিক চিন্তা-ভাবনা স্থায়ীভাবে দূর হয়ে যাবে। আগামীতে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সকলে শামিল হলে জনগন অন্তত ভোটাধিকার ফেরত পাবে।
লেখক: সাংবাদিক, দৈনিক ইত্তেফাক