:: কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি ::
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক মন্ত্রী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম কারামুক্ত হয়েছেন। রোববার সন্ধ্যা ৭টায় কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের কারাফটকে তাকে স্বাগত জানান বিএনপির নেতাকর্মীরা।
বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান নাগরিক নিউজকে হাফিজ উদ্দিনের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে রোববার সকালে রাজধানীর গুলশান থানার নাশকতা মামলায় বিচারিক আদালতে জামিন পান মেজর হাফিজ।
মঙ্গলবার হাফিজ উদ্দিন এ মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী।
গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের চিকিৎসার জন্য দুপুর আড়াইটার দিকে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে রাজধানীর শাহজালাল বিমানবন্দর ত্যাগ করেন মেজর হাফিজ। ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৮ ডিসেম্বর আদালত তার ২১ মাসের কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে গত ৩ মার্চ ভারতে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরেন তিনি।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ৪ জুন গুলশান থানাধীন মহাখালী ওয়ারলেস গেট পানির ট্যাংকির সামনে রাস্তার ওপর সমাবেশ থেকে পুলিশের কাজে বাধা দেন এবং তাদের আক্রমণ করেন। রাস্তায় চলাচলরত গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেন। ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল মামলাটি তদন্তের পর গুলশান থানার এসআই কামরুল হাসান তালুকদার আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল এ মামালায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচার চালাকালে আদালত ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল মামলাটি তদন্তের পর গুলশান থানার এসআই কামরুল হাসান তালুকদার আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলাটির বিচার চলাকালীন আদালত ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।