:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
আগামীকাল মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং থাকবে। তবে এ সূচি আগেই জানিয়ে দেওয়া হবে। এ সময় এলাকাভিত্তিক এক থেকে দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। সোমবার দুপুরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
এতে বলা হয়, বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিটি মসজিদের এসি বন্ধ এবং দোকানপাট ও মার্কেট রাত ৮টার পর বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এ সময় সরকারি অফিসের সভাগুলো অনলাইনে পরিচালনা করতে হবে। সিএনজি পাম্পগুলো সপ্তাহে একদিন বন্ধ রাখা হবে।
গাড়িতে তেলের ব্যবহার কমাতে হবে। ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখা হবে। পেট্রোল পাম্পগুলো সপ্তাহে একদিন বন্ধ রাখা হবে এবং বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে হবে। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিসের সময় এক থেকে দুই ঘণ্টা কমিয়ে আনার চিন্তাও করা হচ্ছে, তবে এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এছাড়া ৮টার পর শপিংমল বন্ধ থাকবে।
অফিসের সময়সূচী ১-২ ঘন্টা কমানোর চিন্তা
মঙ্গলবার থেকে শিডিউল অনুযায়ী অফিসের সময়সূচী ১-২ ঘন্টা কমানোর চিন্তা চলছে। এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং, তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থগিত ও সরকারি-বেসরকারি অফিসের কিছু কার্যক্রম ভার্চুয়ালি হবে বলে জানানো হয়েছে।
সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ সংকট সমাধানে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে এলাকাভিত্তিক দুই ঘণ্টা করে লোডশেডিং হবে। একই সঙ্গে সাময়িক লোডশেডিংয়ের সময় সপ্তাহে একদিন পেট্রল পাম্প বন্ধ থাকবে।
তিনি আরও বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে সাময়িক সময়ের জন্য এই লোডশেডিং হবে। আগেই সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, এছাড়া অফিসের সময় কমানো যায় কিনা, সে বিষয়টিও পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন।