:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের দক্ষিণ খাইলকৈর বগারটেক এলাকা থেকে নিখোঁজ শিক্ষক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
১৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার ভোরে একটি প্রাইভেটকারের ভেতর থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
নিহত দুজন হলেন- টঙ্গীর শহীদ স্মৃতি স্কুলের প্রধান শিক্ষক জিয়াউর রহমান (৪০) ও তার স্ত্রী আমজাদ আলী স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা মাহমুদা আক্তার জলি (৩৫)।
নিহত দম্পতির স্বজনরা জানান, টঙ্গীর কামারজুরি এলাকার নিজ বাড়ি থেকে বুধবার প্রাইভেটকার যোগে শিক্ষক দম্পতি তাদের স্কুলের উদ্দেশ্যে বের হন। স্কুল শেষে সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। এরপর থেকে তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। রাতভর খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ভোরে দক্ষিণ খাইলকৈর বগারটেক এলাকা থেকে ওই প্রাইভেটকারের ভেতরে চালকের আসনে জিয়াউর রহমান ও পাশেই তার স্ত্রীর মাহমুদা আক্তার জলিকে গুরুতর অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে তায়রুন্নেছা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উত্তরার একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। তবে তাদের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যায়নি।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নন্দলাল চৌধুরী জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ দক্ষিন) মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার দেলোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বুধবার গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও তাঁর স্ত্রী স্কুল শেষে মহানগরীর গাছা এলাকায় বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হন। কিন্তু তাঁরা রাতে বাসায় ফেরেননি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে গাছা থানা এলাকায় নিজেদের প্রাইভেট কারের ভেতরে স্টিয়ারিংয়ে প্রধান শিক্ষক ও পাশে তাঁর স্ত্রীকে নিস্তেজ অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে দ্রুত তাঁদের হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ কমিশনার আরও জানান, ‘কীভাবে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বিষয়টি পরিষ্কার নয়। ঘটনাস্থলে একজন ডিসিসহ পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’