বিস্ময়কর কয়েকটি ক্ষুদে স্থাপনা

কখনো কখনো সামান্য কিছু থেকেই অসাধারণ কিছুর সৃষ্টি হয়। আর সেই অসাধারণ সৃষ্টিগুলোই আশেপাশের পরিবেশকে আরো মনোমুগ্ধকর করে তোলে। আমাদের চারপাশে এমন অনেক বস্তু আছে যা আমরা সচারচর ব্যবহার করি না। সেগুলো আকার আকৃতিতে কিছুটা ভিন্নতা এনে সেই অব্যবহৃত বস্তুগুলো দিয়ে তৈরি করা যায় অসাধারণ কিছু। যেমন ধরা যাক মেক্সিকোর একটি সুইমিংপুলের কথাই। ছোট বড় প্রায় হাজার হাজার সুইমিং টয় দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বৃহদাকৃতির কিছু স্থাপত্য। যা সুইমিংপুলের সৌন্দর্যবর্ধনের পাশাপাশি একবিংশ শতাব্দীর স্থাপত্যবিদদের অসাধারণ সৃষ্টি। নীচে এমন কিছু স্থাপনার চিত্র দেয়া হল যা তৈরি করার দ্রব্যাদি নিছক কিছু বস্তু হলেও সবার দৃষ্টিতে তা অসাধারণ আবার কখনো কখনো উপকারি।

টুবো হোটেল
মেক্সিকোতে ২০১০ সালে এরকম হোটেল তৈরি করা হয়। সাস্বল্প খরচে এই হোটলটির বিশেষত্ব হলো এই হোটেলটি নির্মান করা হয়েছে বড় বড় কনক্রিটের রিংয়ের ভেতরে।ধারণত ব্যাকপেকারসদের জন্য এক কক্ষের এই হোটেলগুলো সবচেয়ে বেশি সুবিধাজনক। আর এগুলোর ভেতরের সুযোগ সুবিধা কোন হোটেল রুমের চেয়ে কম নয়। মেক্সিকোতে আসা পর্যটকদের কাছে এই হোটেলগুলো খুব জনপ্রিয়।

ইনস্ট্যান্ট বা তাৎক্ষনিক হাউজিং
জার্মানিতে ২০০১ সালে এমন হাউজিং লক্ষ্য করা যায়। এই হাউজিংয়ের বিশেষত্ব হলো যদি আপনার থাকার কোন জায়গা না থাকে তাহলে আপনি এই হাউজিংয়ের লোকদের ফোন দিলে তারা আপনাকে একদিনের থাকার ব্যবস্থা করে দেবে। অনেকের কাছে এটি আবার মোবাইল হাউজিং নামেও পরিচিত। সাধারণত প্রাকৃতিক দূর্যোগ কবলিত এলাকায় এদের উপস্থিতি বেশি লক্ষনীয়। তবে এর বাড়তি একটি সুবিধা হলো, এই হাউজিং গাড়িটি আপনি চাইলে একজায়গা থেকে অন্য জায়গায় পরিবহণও করতে পারবেন।

মিরর ট্রি হাউজ
সুইডেনে ২০১০ সালে বনের মধ্যে কাচের তৈরি এক কক্ষবিশিষ্ট রুমগুলো তৈরি করা হয়। বনের মধ্যে যারা রাত্রিযাপন করেন বা বনে ঘুরতে আসে তাদের জন্য কাচের তৈরি এই ঘরগুলো বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়েছে। ঘরগুলোর এতটাই উঁচুতে তৈরি করা হয়েছে যেখান থেকে ইচ্ছে করলেই বনের চারদিকের দৃশ্য খুব সহজে অবলোকন করা যায়।

স্পেসেবাষ্টার
আপনি বন্ধু কিংবা স্বজনদের নিয়ে একান্তে নিরিবিলি জায়গায় ডিনার করেতে চাচ্ছেন তাহলে আপনি খবর দিতে পারেন স্পেসবাস্টারকে। তারা আপনার পছন্দমতো স্থানে আপনার জন্য পার্টির ব্যবস্থা করে দেবে। বিশাল প্লাষ্টিকের তাবুর ভিতর অস্থায়ী এই রেষ্টুরেন্টিতে ৮০ জন মানুষ বসতে পারে।

রিসার্চ প্যাভেলিয়ন
জার্মানির একদল বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র একটি পার্কের ভেতরে তৈরি করেছে এই রিসার্চ সেন্টারটি। কম্পিউটারের ডিজাইন তৈরিতে যেসকল বস্তু ব্যবহার করা হয় তা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই আকর্ষণীয় রিসার্চ প্যাভেলিয়ন।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *