গ্যাসের চুলা ব্যবহারে ৮টি সতর্কতা

গ্যাসের চুলার বিস্ফোরণে বিভিন্ন সময় ঘটে যাচ্ছে দুর্ঘটনা। একটু সতর্ক থাকলেই এইসব দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। দেখে নিন গ্যাসের চুলা ব্যবহারে ৮টি সতর্কতা অবলম্বন করা যায়।

১। রান্নাঘরে
সবচেয়ে বেশী অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে আমাদের রান্নাঘর থেকে। সমস্ত ধরণের রান্নার কাজ শেষ হয়ে গেলে অবশ্যই গ্যাসের চুলা নিভিয়ে দিন। শিশুরা খেলাচ্ছলে চুলার চাবি ঘুরিয়ে গ্যাস খুলে রাখছে কিনা খেয়াল রাখুন।

২। ধূমপান
পরিবারে যাদের ধূমপানের অভ্যাস আছে তারা ঘরের বাইরে ধূমপান করুন। ঘরের ভেতরে ধূমপান যেমন ঘরের পরিবেশ নষ্ট করে তেমনি আগুন লাগার সম্ভাবনাও বাড়ে।

৩। ম্যাচ ও লাইটার
ম্যাচ এবং লাইটার শিশুদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে রাখুন। শিশুদের সাধারণত যেগুলো ধরতে নিষেধ করা হয় তারা আরো আগ্রহী হয়ে সেগুলো খুঁজে বের করে। তাই এসব জিনিস যতটা পারবেন তাদের থেকে লুকিয়ে রাখবেন।

৪। ইলেকট্রিক তার
বাসার ইলেকট্রিক তারগুলো ঠিক আছে কিনা নিয়মিত পরীক্ষা করুন। তার ছিঁড়ে গেলে দ্রুত মেরামত করুন। বৈদ্যুতিক সংযোগের কোন ধরণের সমস্যা অবহেলা করবেন না।

৫। শর্ট সার্কিট
বিদ্যুতের প্রবাহ সবসময় সমানতালে হয় না। এই তারতম্যের কারণে হতে পারে শর্ট সার্কিট, যা মারাত্মক সব দূর্ঘটনার কারণ। শর্ট সার্কিট এড়াতে প্রয়োজনীয় ফিউজ ব্যবহার করুন।

৬। মোমবাতি
মোমবাতি ব্যবহারে সতর্ক থাকুন। দাহ্য বস্তু থেকে মোমবাতিটি অন্তত ১ ফুট দূরে রাখুন। ঘর থেকে বেরিয়ে যাবার সময় অবশ্যই নিভিয়ে দিন।

৭। ফায়ার এক্সিট
নানান রকম সাবধানতার পরও আগুন লেগে যেতে পারে। তাই এরকম দূর্ঘটনায় পড়লে কিভাবে বের হবেন সেই ফায়ার এক্সিট পরিকল্পনা রাখুন আগে থেকেই।

৮। স্মোক এলার্ম
আপনার পাশের ফ্লাটে লেগে যাওয়া আগুন আপনার জন্যও বিপজ্জনক। তাই পুরো বাড়িতেই স্মোক এলার্ম লাগানো উচিৎ যাতে কোথাও কোন ধোঁয়া উড়লে এলার্ম আপনাকে আগেই বিপদ সংকেত দিতে পারে। ফলে আপনি বের হওয়ার জন্য বেশি সময় পাবেন। তাই বাড়ির প্রতি তলায় এলার্ম লাগান এবং সেগুলোকে একসাথে সংযুক্ত রাখুন, যেন একটা বাজলে বাকি সবগুলোও বেজে ওঠে।

গ্যাসের চুলা ব্যবহারে সতর্কতা
আপনি যে বাড়িতে থাকছেন, বুঝতে হবে আপনি কিসের ভেতরে আছেন। আপনি যদি দেখেন, গ্যাস লিকেজের ওপর আছেন। গ্যাস বেরোলে শব্দ হবে। গ্যাসেরও একটা গন্ধ আছে। এগুলো অনুভব করুন। এসব ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হবে।

বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম, আর চুলার ওপর কাপড় দিয়ে গেলাম—এটা যেন না করা হয়। এ জন্য পারিবারিক পর্যায়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। পরিবারের যিনি প্রধান, তার উচিত গ্যাস-বিদ্যুৎ ব্যবহার কীভাবে করতে হবে, সেটা সম্পর্কে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা।

আগুন লাগলে যেমন ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়, ঠিক তেমনি গ্যাসলাইনে লিকেজ হলে তিতাস গ্যাসকে জানানো উচিত।

চিকিৎসকদের পরামর্শ
এ ধরনের আগুনে পোড়া রোগীদের শরীরে ১৫-২০ মিনিট ধরে বিশুদ্ধ পানি ঢালতে হবে। তা ছাড়া গ্যাস বা পেট্রলের দাহ্য ক্ষমতা বেশি থাকে। গ্যাসের চুলার নবটা ঠিক আছে কি না, এগুলো পরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। রান্না শেষে গ্যাসের চুলার চাবিটা ঠিকভাবে বন্ধ করে রাখা উচিত।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *