:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. সামন্ত লাল সেন।
৪৬ মরদেহের মধ্যে পরিচয় শনাক্ত করা হয় ৪১টির। এরমধ্যে ৪০ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
হস্তান্তর হওয়া ৪০ জন হলেন- ঢাকার নুরুল ইসলাম (৩২), ঢাকার পপি রায় (৩৬), যাত্রাবাড়ীর সম্পূর্ণা পোদ্দার (১২), কুমিল্লার জান্নাতিন তাজরীন (২৩), ঢাকার নাজিয়া আক্তার (৩১), ঢাকার আরহাম মোস্তফা আহমেদ, ঢাকার মাইশা কবির মাহি (২১), ঢাকার মেহেররিন কবির দোলা (২৯), কুমিল্লার পম্পা সাহা (৪৭), মাদারীপুরের জিহাদ হোসেন (২২), মৌলভীবাজারের আতাউর রহমান শামিম (৬৩), যশোরের কামরুল হাবিব জামান রকি (২০), টাঙ্গাইলের মেহেদী হাসান (২৭), কুমিল্লার ফৌজিয়া আফরিন রিয়া (২২), কুমিল্লার নুসরাত জাহান শিমু (১৯), ঢাকার সৈয়দা ফতেমাতুজ জোহরা (১৬), ঢাকার সৈয়দ আব্দুল্লাহ (৮), ঢাকার স্বপ্না আক্তার (৪০), মুন্সিগঞ্জের জারিন তাসনিম প্রিয়তি (২০), নারায়ণগঞ্জের শান্ত হোসেন (২৩), ভোলার দিদারুল হক (২৩), হবিগঞ্জের রুবি রায় (৪৮), হবিগঞ্জের প্রিয়াঙ্কা রায় (১৮), ঝালকাঠির তুষার হাওলাদার (২৬), পটুয়াখালীর জুয়েল গাজী (৩০), নোয়াখালীর আসিফ (২১), চাঁদপুরের মিনহাজ উদ্দিন (২৫), ভোলার নয়ন (১৭), পাবনার সাত্তার হোসেন (২০), পিরোজপুরের তানজিলা নওহিন (৩৫), ঢাকার লুৎফুন নাহার লাকী (৫০), শেরপুরের শিপন মিয়া (২১), ঢাকার, সংকল্প (৮), ঢাকার আলিশা (১৩), বরিশালের নাহিয়ান আফিন (১৯), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আমেনা আক্তার (১৩), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশরাফুল ইসলাম (২৫), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সৈয়দ মোবারক হোনের (৪৮), ঢাকার নাফিসা ইসলাম (২০), বরগুনার নাঈম (১৮)।
শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন—ফয়সাল আহমেদ (৩৮), সুজন মণ্ডল (২৪), প্রহিত (২৫), আবিনা (২৩), রাকিব হাসান (২৮), কাজী নাওশাদ হাসান আনান (২০), আজাদ আবরার (২৪), মেহেদী হাসান (৩৫), রাকিব (২৫) ও সুমাইয়া( ৩১)। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন ইকবাল হোসেন (২৪) ও যোবায়ের (২১)।
তাদের প্রত্যেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। আহতদের চিকিৎসার সমস্ত ব্যয়ভার সরকার বহন করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।