কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে অগ্নিকাণ্ড, উদ্ধার ৬৮ জন

:: নাগরিক প্রতিবেদন ::

রাজধানীর বেইলি রোডে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৬৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত আনুমানিক পৌনে ১০টার দিকে গ্রিন কোজি কটেজ নামে ওই ভবনে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম নাগরিক নিউজকে আগুনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ৯টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। ৯টা ৫৬ মিনিটে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। এখন ১২টি ইউনিট কাজ করছে। গুরুতর আহত ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে অন্তত ৩০ জনকে।

তিনি জানান, আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া জানান, ছয়তলা ভবনের দুইতলায় কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁয় আগুন লেগেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

এরই মধ্যে অগ্নিকাণ্ডস্থল পরিদর্শনে বেইলি রোডে উপস্থিত হয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। 

বৃহস্পতিবার রাত এগারোটার কিছু পরে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। একই সময়ে অগ্নিকাণ্ডস্থলে উপস্থিত হন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার হাবিবুর রহমান।

অগ্নিকাণ্ডের পরপরই ঘটনাস্থলের নিরাপত্তা ও জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ। একই সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে একত্রিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণেও কাজ করছে দেশের সবচেয়ে বড় এই বাহিনীর সদস্যরা।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, রাত সোয়া ১১টা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে বাহিনীটির ১২টি ইউনিট কাজ করছে। এ সময় ৬৫ জনকে জীবিত করা হয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া আহতদের মধ্যে কয়েকজন হলেন- শাকিল (২৪), উজ্জল (২৩), জোবায়ের (২১), ওমর ফারুক (৪৩), শাকিল (২২), জুয়েল (৩০)।

ভবনে আটকা পড়েছেন অনেকে। তাদের মধ্যে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আহমেদ কামরুজ্জামান পরিবারসহ আটকে আছেন। তিনিসহ অন্তত ১০০ জন ওই ভবনে আটকা পড়েছেন।   

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আহতের সংখ্যা বাড়ছে। অনেকে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত হয়েছেন।

রেস্টুরেন্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৩ প্লাটুন সাধারণ আনসার ও এক প্লাটুন আনসার গার্ড ব্যাটালিয়ন (এজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণ ও আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধার করতে কাজ করছে।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *