চান্দু স্টেডিয়ামের জন্য অনশনকারী রুমেল মারা গেছেন

:: বগুড়া প্রতিনিধি ::

বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ভেন্যু ফেরানোর দাবিতে আমরণ অনশনকারী হুমায়ুন আহমেদ রুমেল মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে নাটাই পূর্বপাড়ার নিজ বাসায় মারা যান তিনি। বাসায় মায়ের সঙ্গে থাকতেন রুমেল। ওই এলাকার প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিনের ছেলে তিনি। তার বাকি তিন ভাই চাকরির কারণে বগুড়ার বাইরে থাকেন। এ ছাড়া তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কনটেন্ট ক্রিয়েটর ছিলেন।

রুমেলের মা জানান, তার ছেলে অতিরিক্ত গরমের কারণে অসুস্থ ছিলেন। হঠাৎ করেই মারা গেছেন।

মৃত রুমেলের মা আরও জানান, ‘আমার ছেলের সঙ্গে বুধবার রাতেই কথা বলেছি। অতিরিক্ত গরমের কারণে রুমেল অসুস্থ ছিল। বৃহস্পতিবার ভোরেই আমাকে ছেড়ে চলে গেল। আমার পাশে থাকার মত আর কেউ রইলো না।’

রুমেলের বন্ধু রাসেল ইসলাম জানান, রুমেলের সঙ্গে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে কথা বলি। সে মানসিকভাবে অনেক চিন্তিত ছিল। বগুড়া স্টেডিয়াম ফিরিয়ে আনতে সে অনশন করেছিল। সে বগুড়াবাসীর জন্য ঈদের পর আবারও বিমানবন্দরের জন্য অনশনে বসতে চেয়েছিল।

প্রতিবেশী রকি হোসেন বলেন, রুমেল ভাই মাঝে মাঝেই না খেয়ে থাকতেন। হঠাৎ করে ভোরে অসুস্থতার খবর পেয়ে যাই। গিয়ে দেখি মেঝেতে শোয়ানো অবস্থায় রয়েছেন, হাত পা ছড়ানো। পরে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে গাড়ি ভাড়া করতে যাই। এসে দেখি রুমেল ভাই আর নেই।

বিসিবির আন্তর্জাতিক ভেন্যু হিসেবে শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম পুনর্বহালের দাবিতে কিছুদিন আগে শহরের সাতমাথায় কাফনের কাপড় পরে দুই দফায় ‘অনশন’ করে আলোচনায় আসেন তিনি।

তার এই কর্মসূচি আলোচনায় আসার পর বিসিবি সিদ্ধান্ত পাল্টায়। স্টেডিয়াম থেকে নিয়ে যাওয়া মালামাল গত ১০ এপ্রিল ফেরত পাঠানো হয় বগুড়ায়।

গত ৫ মার্চ শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম থেকে বিসিবির লোকবল প্রত্যাহারসহ ভেন্যু বাতিলের প্রতিবাদ এবং বগুড়া জেলার উন্নয়নের দাবিতে সাদা কাফন ও শিকল পরে আমরণ অনশনে যান রুমেল। পরে ভেন্যু ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলে অনশন ভাঙেন তিনি। এ কর্মসূচির পর থেকে তিনি দেশব্যাপী আলোচিত হন।

একটি সফল কর্মসূচির পর এবার বগুড়া বিমানবন্দর চালুর দাবিতে আবার অনশন করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন রুমেল। ঈদের পরে সেই কর্মসূচিতে বসার কথা ছিল তার।

এদিকে ‘চ্যানেল বগুড়া’ নামে ফেসবুক আইডিতে বুধবার রাত ১১টা ৪২ মিনিটে তিনি লেখেন, ‘জীবনের প্রথম স্মৃতি এবং জীবনের শেষ স্মৃতি প্রতিটি মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ!!!’

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *