আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই: একজন গ্রেফতার

:: নাগরিক প্রতিবেদন ::

রাজধানীর আদালত প্রাঙ্গণ পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে থেকে দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফি (২৪) জঙ্গি ছিনিতাইয়ের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মো. ফারুক হোসেন বুধবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ফারুক হোসেন জানান, আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার আসামি মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফিকে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) গ্রেফতার করেছে।

এদিকে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের এক কর্মকর্তা জানান, জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় মেহেদী হাসান সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন।

তিনি আরও জানান, মেহেদী আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার সদস্য। তার বাড়ি সিলেটে। তিনি ব্লগার নাজিমউদ্দীন সামাদ হত্যার মিশনেও অংশ নিয়েছিলেন।

জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় রোববার রাতে আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের পক্ষ থেকে কোতোয়ালি থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলা করা হয়। এতে আসামি করা হয় পালিয়ে যাওয়া ও জামিনে থাকা ৪ জঙ্গিসহ ২০ জনকে। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০ থেকে ২১ জনকে আসামি করা হয়। পরের দিন ২১ নভেম্বর সোমবার মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় সিটিটিসি।

মামলার আসামিরা হলেন-শাহিন আলম, শাহ আলম ওরফে সালাউদ্দিন বিএম মুজিবুর রহমান, সুমন হোসেন পাটোয়ারী, খাইরুল ইসলাম জামিল, মইনুল হাসান শামীম, আবু সিদ্দিক সোহেল, মোজাম্মেল হোসেন সাইমন, আরাফাত রহমান ওরফে সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ, শেখ আব্দুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে যায়েদ, আব্দুস সবুর, রশিদ উন নবী ভুইয়া ওরফে টিপু ওরফে রাসেল, ইদি আমিন, মেহেদী হাসান অমি, সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হাসান ওরফে মেজর জিয়া, আয়মান সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে কনিক, তানভীর ওরফে শামসেদ মিয়া, রিয়াজুল ইসলাম ওরফে রিয়াজ ও ওমর ফারুক ওরফে নোমান।

সিটিটিসির ওই কর্মকর্তা জানান, মেহেদী হাসান হাসান অমি ওরফে রাফি জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় দায়ের করা মামলার ১৪ নম্বর আসামি। তবে কখন কোথা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেটি জানাননি তিনি।

গত ২০ নভেম্বর পুলিশকে মারধর ও চোখে পিপার স্প্রে করে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ফটক থেকে নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই সদস্যকে তাদের সহযোগীরা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনার দিন ওই দুজনসহ ১২ আসামিকে সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (সিএমএম) হাজতখানায় নেওয়া হচ্ছিল।

ছিনিয়ে নেওয়া ওই দুই জঙ্গি হলেন মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির ও মো. আবু ছিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব। তারা জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন এবং লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *