:: কামরুন নাহার মুন্নী ::
আল্লাহর মেহেরবানীতে ১৯৯৭ সালের আজকের এই দিনে (২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭) আবদুর রব সেরনিয়াবাত কলেজে যোগদান করেছিলাম আমরা তিনজন। আমার সাথে রয়েছেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহিনা ইয়াসমিন এবং দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রিনা রানী সূতার।
মেঘে মেঘে বেলা অনেক গড়িয়েছে। মনে হয় এইতো সেদিন! অথচ আজ ২৫ বছর! সুখ, দুঃখ, আনন্দ,বেদনার তরঙ্গায়িত ছন্দে একসাথে কাটানো মুহূর্তগুলো জীবনের পরম সঞ্চয়! সহকর্মীদের পেয়েছি সহমর্মী হিসেবে। আমার সৃজনশীল কাজে তাঁদের উৎসাহ আমাকে গভীর কৃতজ্ঞতায় আবদ্ধ করেছে। এ দীর্ঘ পথচলায় একসাথে কাজ করতে গিয়ে আমাদের মাঝে গড়ে উঠেছে আত্মিক বন্ধন।
২৫ বছরের পথ পরিক্রমায় পরিচালনা পর্ষদের তদারকি, অধ্যক্ষ মহোদয়দের(যখন যারা ছিলেন) আন্তরিকতা, গঠনমূলক পরামর্শ, কর্মচারীদের সেবা ও সহযোগিতা, ছাত্র-ছাত্রীদের অকৃত্রিম ভালোবাসা- জীবনকে মাধুর্যময় করে তুলেছে।
যা কিছু পেয়েছি তার কোন তুলনা হয় না! তা আল্লাহতায়ালার অশেষ অনুগ্রহ! একজন শিক্ষক হিসেবে আত্মপরিচয়ে আমি সবসময়ই গর্বিত।
আজ গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আলহাজ্ব কাজী মোখলেসুর রহমান চাচাকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগে, মাননীয় মন্ত্রী আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, তাঁর স্ত্রী মরহুম সাহানারা আবদুল্লাহ সানু আপার সহযোগিতায় এবং প্রতিষ্ঠাতা মহোদয়ের জ্যেষ্ঠ পুত্র শ্রদ্ধেয় কাজী মফিজুল ইসলাম কামাল ভাইয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টায় কলেজটি গত বছর(২৬ আগস্ট ২০২১) জাতীয়করণ হয়েছে। তাঁর স্ত্রী আমাদের উপাধ্যক্ষ জনাব নুসরাত রশিদ কলেজের উন্নয়নকল্পে সবসময় তৎপর আছেন। দোয়া করবেন বন্ধুরা, আগামী দিনগুলোতে যেন সবাই সুস্থ থেকে মানুষ গড়ার মহান দায়িত্বটুকু যথাযথভাবে পালন করতে পারি।
পরিশেষে কবিগুরুর ভাষায় বলি-
“যা পেয়েছি প্রথম দিনে
সেই যেন পাই শেষে,
দুহাত দিয়ে বিশ্বেরে ছুঁই
শিশুর মতন হেসে।”
[ছবি কৃতজ্ঞতা: সঞ্চিতা সমাদ্দার, সহকারী অধ্যাপক, জীববিদ্যা।]
লেখিকা: সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, আবদুর রব সেরনিয়াবাত কলেজ